পলিথিন দিয়ে গাছপালার গোড়া, সবজি ক্ষেত ও বাগানের বেডের জমি বিশেষ পদ্ধতিতে ঢেকে দেয়া হয় তখন তাকে বলে পলিমালচিং পদ্ধতি। চাষে বাণিজ্য ও আধুনিকীকরণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পলিমালচিং-এর ব্যবহার জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি আধুনিক চাষাবাদের একটি উন্নত পদ্ধতি। এর ফলে ফসলের দ্রুত বৃদ্ধি হয়। তাছাড়া, ভাল ফলনের জন্য মাটি ঢেকে দিয়ে চাষের অনুকুল পরিবেশ তৈরি করা হয়। মাটির রস সংরক্ষণে এবং আগাছার যন্ত্রণা থেকে থেকে মুক্তি বিশেষ উপায় এটি।
advertisement
আরও পড়ুন: চাকরি করেন? আয়কর বাঁচানোর রাস্তা খুঁজছেন? এই টিপসগুলো মেনে চলুন, অনেক টাকা বেঁচে যাবে
তবে এই পদ্ধতিতে চাষ করলে কীকীসুযোগ এবং কি কি সুবিধা আছে তা নিয়ে বিশেষ পরামর্শ দিলেন মিনাখা ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা দিব্যেন্দু চৌধুরী। পলি মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করার জন্য প্রথমে পরিমাণমতো খাবার দিয়ে জমি প্রস্তুত শেষে সারি তৈরি করা হয়। সেই মাটির সারিগুলি পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এরপর সারিগুলো দিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্বে পলিথিন ফুটো করে সবজির চারা রোপণ করা হয়।
এই পদ্ধতিতে চাষ করলে যেহেতু সরাসরি সূর্যালোক মাটিতে পৌঁছায় না সেজন্য মাটি থেকে জলীয় বাষ্প শোষিত হয় না। এর ফলে মাটির আর্দ্রতা বজায় থাকে। সেজন্য মাটিতে তেমন সেচের প্রয়োজন হয় না। এজন্য এই পদ্ধতিতে চাষ করলে সেচের খরচ অনেকাংশে কমে। চারা রোপণের পর থেকে শুধুমাত্র দেখভাল করা ছাড়া আর তেমন কোনও পরিচর্যা করতে হয় না।
আরও পড়ুন: HDFC ব্যাঙ্কের ৯০ দিনের FD-তে ৯ লাখ টাকা রাখলে ম্যাচিউরিটির সময়ে কত টাকা পাবেন? দেখুন হিসেব
মাটির সারিগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে থাকার কারণে বাইরে থেকে কোনও ছত্রাক কিংবা রোগবালাই সেই সবজির চারায় আক্রমণ করতে পারে না বলে কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় খুবই কম। মাটি যেহেতু প্লাস্টিক দিয়ে ঢাকা থাকে সেজন্য মাটিতে কোন প্রকার আগাছা কিংবা ঘাস জন্মায় না। সেজন্য আগাছা কিংবা ঘাস পরিষ্কার এর জন্য তেমন শ্রমিকেরও প্রয়োজন হয় না বলে উৎপাদন খরচ হয় খুবই কম হয়। এছাড়া এই পদ্ধতিতে ফলন হয় দ্বিগুণ। এই পদ্ধতি অনেক সহজলভ্য ও পরিবেশবান্ধব হওয়ায় অনেক কৃষকরা এই পদ্ধতিতে সবজি চাষে ঝুঁকছেন।
জুলফিকার মোল্লা