লেবু চাষি তোতন সাঁতরা বলেন, “এই চাষে লাভ আছে। তবে একটু সময়সাপেক্ষ, তিন বছর পর থেকে ফলন পাওয়া যাবে। যাদের জমি জায়গা বেশি আছে তারা এই চাষ করে রেখে দিতে পারেন।”
চাষির কথায় তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে এই চাষ করছেন। এই পাতি লেবু চাষে খরচ কম কিন্তু লাভ তুলনামূলক বেশি। গাছ বসানোর তিন বছর পর থেকে ফলন পাওয়া যায় এবং আট থেকে দশ বছর পর্যন্ত একটা গাছ থেকে ফলন পাওয়া সম্ভব। গাছ বসানোর সময় একটা গাছ থেকে আরেকটা গাছের দূরত্ব রাখতে হয় দশ থেকে বারো হাত। এর ফলে যখন গাছ বড় হয় তখন লেবু তুলতে এবং যাতায়াতে অনেক সুবিধা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: এই ব্যাঙ্কগুলো এখনও ৯.১০% পর্যন্ত সুদ দিচ্ছে, FD থেকে লাভ তুলতে চাইলে একবার ভেবে দেখতে পারেন
এছাড়াও এই চাষের জন্য সারের খরচও অনেকটাই কম। একবছরে দুইবার ফলন পাওয়া যায় এই গাছ থেকে।
একটা বড় গাছ থেকে বছরে পাঁচ হাজার পিস লেবু পাওয়া সম্ভব। এখন এক একটা লেবু দেড় থেকে দুই টাকা দামে বিক্রি হলেও, পৌষ মাস অর্থাৎ শীতের সময় বিক্রি হয় চার থেকে পাঁচ টাকা প্রতি পিস হিসেবে। স্বাভাবিক ভাবেই তখন চাষিদের লাভ হয় অনেকটাই বেশি। এই লেবুর বাগানে মহিলাদেরও কর্মসংস্থান হচ্ছে। কিছু স্থানীয় মহিলা এখানে লেবু তোলার কাজ করেও অর্থ উপার্জন করতে পারছেন।
আরও পড়ুন: ICICI ব্যাঙ্ক থেকে ৫ বছরের জন্য ১২ লাখ টাকার Personal Loan নিলে কত EMI দিতে হবে? হিসেব দেখে নিন
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় মহিলা আদুরী মাঝি বলেন, “আমরা তিন থেকে চারজন এখানে লেবু তোলার কাজ করি। এই গরমের সময় ভালো কাজ হয়। সকাল ৭ টা সময় আসি আবার ৩টে সময় চলে যায়। আমরা ২৮০ টাকা রোজ মজুরি পাই।”
পূর্বস্থলীর এই লেবু রাজ্য ছাড়িয়ে পৌঁছে যায় ভিন রাজ্যেও। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এখানকার লেবু পাড়ি দেয়। সবমিলিয়ে এখন লেবু চাষ করেই লক্ষীলাভ করছেন চাষিরা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী