বিশ্বভারতীর প্রাক্তন পড়ুয়া ঋতুপর্ণা রায়ের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের রায়নার গোবিন্দপুরে। এমন রোগ ধরার পর এসএসকেএম এবং বর্ধমানে চিকিৎসা করানোর পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই তাদের দু'লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়ে গিয়েছে। সামান্য চাষবাসের উপর নির্ভরশীল এই পরিবারের কাছে এই টাকাটুকু জোগাড় করাটাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্যান্সার আক্রান্ত দেশপ্রিয় রায়ের স্ত্রী অর্থাৎ ঋতুপর্ণার মা মৌসুমী রায় একটি বেসরকারি স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী। সেক্ষেত্রে তার আয় হয়ে থাকে মাসি মাত্র চার হাজার টাকা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ তারাপীঠে রথে জগন্নাথ দেব নন, বসেন তারা মা!
এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে চিকিৎসার জন্য ৪০ লক্ষ টাকা খরচ হবে তা নিয়েই চিন্তিত তারা। তবে ঋতুপর্ণা এবং তার পরিবারের সদস্যদের এই দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য বিশ্বভারতীর এই পড়ুয়ারা যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে তারা জানিয়েছেন, 'আমরাও পড়ুয়া। আমাদের কাছেও সেভাবে অর্থ নেই। তবে আমরা ঋতুপর্ণার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই। যে কারণেই আমরা গানকে হাতিয়ার করে নিয়েছি, টাকা যোগাড়ের জন্য। শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের প্রচেষ্টা চালাবো।'
আরও পড়ুনঃ নতুন বাড়িতেও পিছু ছাড়ল না অশান্তি, বীরভূমের নলহাটিতে স্বামীর হাতে কুপিয়ে খুন স্ত্রী
সাহায্য করার জন্য : https://milaap.org/fundraisers/support-deshapriya-roy/deeplink?deeplink_type=upi&utm_medium=whatsapp_status&utm_source=app
ঋতুপর্ণার তরফ থেকে জানা গিয়েছে, তার বাবা লান্স ক্যান্সারের 4th স্টেজে রয়েছেন। বর্তমানে তার বাবা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে কাটাচ্ছেন তাতে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন হয় কেমো অথবা ওরাল ট্রিটমেন্ট করাতে হবে। কেমো দেওয়ার পর ঝুঁকি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওরাল ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এই ওরাল ট্রিটমেন্ট করানোর ক্ষেত্রেই খরচ হবে ৪০ লক্ষ টাকা। এই বিশাল অংকের খরচ তাদের কাছে বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত হলেও তারা হাল ছাড়েন নি। তারা এখন চিকিৎসা করাচ্ছেন কলকাতার টাটা মেমোরিয়ালে।
Madhab Das