প্রশ্নের উত্তরে শিব ঠাকুর মণ্ডল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি দল থেকে কেবল বঞ্চনা পেয়েছেন আর কিছু পাননি। এই কথা শুনেই অনুব্রত মণ্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তার টুঁটি চেপে ধরেন। শিব ঠাকুর মণ্ডল, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুবরাজপুর থানার পুলিশ তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেয়। ৩২৩, ৩২৫ ও ৩০৭ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরের দিনই আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে আনা হয় দুবরাজপুর আদালতে এবং সাত দিনের জন্য পুলিশি হেফাজত দেয় আদালত। এরপর থেকেই শিব টিভির পর্দায়, খবরের শিরোনামে আসতে শুরু করেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কেষ্টকে লক-আপে ভরে 'বীর' শিব ঠাকুর, ফিরছে ভাগ্য, ভাইরাল কীর্তনের ভিডিও
খবরের শিরোনামে এলেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এই শিব ঠাকুর মণ্ডলের ভবিষ্যৎ কী হবে? ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র মলয় মুখোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনা ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কোথায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে সেই প্রসঙ্গে মলয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৩ ডিসেম্বর রয়েছে জেলা কমিটির বৈঠক এবং সেই বৈঠকেই শিব ঠাকুর মণ্ডলের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা আলোচনা হবে। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কী শিব ঠাকুর মণ্ডলকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে? এই প্রসঙ্গেও মলয় মুখোপাধ্যায় জানান, আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে। শৃঙ্খলা কমিটি যা ভাল বুঝবে সেটাই হবে।
তবে দল যা ভাবছে ভাবুক, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তাকে থানায় ঢোকানো শিব ঠাকুর মণ্ডল কিন্তু নিজেকে একেবারে বীর বলেই মনে করছেন। কারণ তিনি জানিয়েছেন, "ওর নামে যে এফআইআর হয়েছে এটাতেই আমি খুশি। ওর নামে তো এফআইআর করতেই সবাই ভয় পায়। আমি তো সাহস নিয়ে এফআইআর করেছি। তার থেকে বড় আর কী হতে পারে?"
Madhab Das





