তবে বর্তমানে মাটি মাফিয়া, গাছ মাফিয়া সহ দুষ্কৃতীদের পাল্লায় পড়ে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার মুখে। বারবার গাছ, মাটি ইত্যাদি লুটের অভিযোগ উঠলেও সেই সকল ঘটনায় লাগাম টানতে পারছে না প্রশাসন। এই ঘটনায় নতুন করে প্রমাণ করল শান্তিনিকেতনের সোনাঝুড়ির স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে।
আরও পড়ুনঃ অন্তর্ঘাত! ১১ দিনের মাথায় একই বাজারে ফের ভয়াবহ আগুন, লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি
advertisement
নতুন করে সোনাঝুড়ি জঙ্গল থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি ও গাছ চুরি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এলাকার মাটি মাফিয়া এবং দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ প্রশাসন সবকিছু জানলেও তারা নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকা আগে রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্ভুক্ত থাকলেও এখন তা বোলপুর পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পৌরসভার কাউন্সিলরেরও এই ঘটনার সম্পর্কে জানা রয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের এবং তিনিও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ করা হচ্ছে স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের তরফ থেকে স্পষ্টভাবে অভিযোগ করা হয়েছে, শালবাগান ছাড়াও সোনাঝুড়ি এলাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে রাতের অন্ধকারে মাটি, গাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি বন দফতর পুলিশ প্রশাসন সবাই জানেন, কিন্তু তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। এমনকি সেখানে পুলিশের গাড়ি থাকে, তারা সব জানে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। পৌরসভাও বিষয়টি জানে এবং তারাও কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ। এই এসবের ফলে জঙ্গলের উপর অত্যাচার হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তারা এবং পশুপাখিরা পালিয়ে যাচ্ছেন বলেও দাবি করেছেন।
অন্যদিকে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তার কাছে কোন অভিযোগই আসেনি। অভিযোগ এলে তিনি বিষয়টি দেখবেন। তবে তিনি এও আশ্বাস দিয়েছেন সাংবাদিকদের থেকে বিষয়টি জানার পর খতিয়ে দেখা হবে।
Madhab Das