ওইদিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ও মানুষকে ধন্যবাদ জানালাম। ২১ শে জুলাই ধর্মতলা বীরভূম জেলা থেকে দেড় লক্ষ মানুষকে নিয়ে যাব৷ সেই বিষয়েই আলোচনা হল।”
অন্য দিকে, তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে বিরোধী জোটের বৈঠক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কটাক্ষ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “উনি এছাড়া আর কি করতে পারবেন। উনি তো বলতে পারবেন না দারুণ লোকরা একত্রিত হয়েছে। আমি দেশ সামলাতে পারছি না৷ তবে এতগুলো মানুষ যখন একটা মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছে তখন বুঝতে হবে অনেকগুলো ইস্যু আছে৷ মানুষের সঙ্গে জড়িত ইস্যু নিয়ে ‘ইণ্ডিয়া’ বলে যেটা করছে তা আগামী দিনে ভালো হবে। ২০২৪ এ অন্য রেজাল্ট দেবে সেটা আশা করা যাচ্ছে।”
advertisement
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে বৈঠকে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, ‘‘এম কে স্ট্যালিনের (তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী) জন্মদিনে আমি চেন্নাইয়ে আগেই বলেছিলাম, কংগ্রেস ক্ষমতা বা প্রধানমন্ত্রী পদে আগ্রহী নয় । এই বৈঠকে আমাদের উদ্দেশ্য নিজেদের জন্য ক্ষমতা লাভ করা নয় । এটি আমাদের সংবিধান, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার রক্ষার জন্য ৷’’
এই প্রসঙ্গে প্রশ্নে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “তাহলে ডেফিনেটলি প্রধানমন্ত্রীর মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা তো চাইবই বাঙালি হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হোক। আগে কোন বাঙালি হয়নি।” অর্থাৎ, বিরোধী জোটে কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে প্রধানমন্ত্রীর মুখ, তা স্পষ্ট করে দাবি করলেন অভিনেত্রী সাংসদ।
Subhadip Pal