আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীন হিন্দু মন্দির উঠে এসেছে দুর্গাপুরে
শান্তিনিকেতনের পশেই প্রকৃতির অপূর্ব সৃষ্টি সোনাঝুরি জঙ্গল। ইউক্যালিপটাসের পাশপাশি রয়েছে সোনাঝুরি গাছ। আর এই জঙ্গলে অবলুপ্ত হয়েও রয়েছে খোয়াইয়ের চিহ্ন। সকাল এবং সন্ধেয় সূর্যের আলোতে এই জঙ্গলের লাল মাটি হয়ে ওঠে আরও লাল। প্রতিদিন এই হাট দেখতেই আসেন কয়েকশো পর্যটক। উৎসব-অনুষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়ায় কয়েক হাজার। শ্যামবাটি থেকে বল্লভপুর গ্রাম যাওয়ার পথে শ্যামবাটি ক্যানেল পাড়ে অবস্থিত এই সোনাঝুরি। বীরভূমের রামপুরহাট স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে মাত্র এক ঘণ্টা গেলেই পৌঁছে যাওয়া যায় বোলপুর। সেখান থেকে মাত্র কুড়ি টাকা খরচ করে টোটো ভাড়া করে পর্যটকরা পৌঁছে যান সোনাঝুরির হাটে।
advertisement
অকাল বর্ষণের ফলে তুলনামূলকভাবে শহরের শপিংমলগুলো বেচাকেনার দিক থেকে খানিকটা ধাক্কা খেযেছে। বৃষ্টির সময় সোনাঝুরির হাটেও বিক্রিবাটা তেমন হয়নি। তবে বৃষ্টি থামতেই বীরভূম সহ কলকাতা থেকে আসা পর্যটকরা যেভাবে ভিড় করছেন হাটে এবং জিনিসপত্র কিনছেন তাতে এখানকার স্থানীয় বিক্রেতাদের যাবতীয় ক্ষতি পুষিয়ে গিয়েছে। জুতোর দোকান থেকে শুরু করে কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। মূলত শনি এবং রবিবার প্রচুর কাপড়ের দোকান এবং বিভিন্ন রকমের জিনিসপত্রের দোকান বসে এখানে। তবে এখন সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিনও পর্যটকরা সোনাঝুরির হাটে এলে সেই আনন্দই উপভোগ করতে পারবেন। পুজোর সময় ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত বন্ধ থাকবে হাট।
সৌভিক রায়