৯ জানুয়ারি মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড ডে মিল নিয়ে এই কেলেঙ্কারি ঘটে। বেশ কিছু পড়ুয়া ওই দিনের মিড ডে মিল খাওয়ার পর হঠাৎই ডালের বালতিতে মরা সাপ নজরে আসতে। স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে হইচই পরে যায়। ঐদিন মিড ডে মিল খাওয়া বেশ কয়েকজন পড়ুয়া পরে অসুস্থও হয়ে পড়ে। তাদের রামপুরহাট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। এই নিয়ে রাজ্যের স্কুলগুলিতে মিড ডে মিল পরিষেবার হাল কেমন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতা বইমেলা উদ্বোধনের সময় বদলে গেল! কবে কখন শুরু হবে জেনে নিন
জানা যায় ওই মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ৫৩ জন ছাত্রছাত্রী পড়ে। সেদিন দুপুরে ২০ জনের মত পড়ুয়া মিড ডে মিলের খাবার খেয়েছিল। রান্না করার দায়িত্বে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের থেকে জানা যায়, বালতির ডাল শেষ হওয়ার পর মৃত সাপটি নজরে এসেছিল। এই ঘটনার পর চারিদিকে সমালোচনার ঝড় উঠলে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। তারা বিভিন্ন স্কুলের মিড ডে মিলের খাবারের গুণগত মান যাচাই করা শুরু করে। পাশাপাশি মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র দে এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের সঙ্গেও আলাদাভাবে কথা বলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। ওই প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা তাঁরা ভালো করে যাচাই করে দেখেন। সেখানে গাফিলতির আঁচ পাওয়ার পরই প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র দে-কে ছামনার বাঁধ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ট্রান্সফার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশ্য কাঠগড়ায় ওঠা প্রধান শিক্ষক নিমাই চন্দ্র দে আগেই জানিয়েছিলেন, উচ্চকর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি সেটাই মাথা পেতে মেনে নেবেন। পাশাপাশি ওই স্কুলের রান্নার দায়িত্ব থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বদলে নতুন একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রান্নার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মাধব দাস