শান্তিনিকেতনের একদল অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ইলামবাজারের চৌপাহাড়ি জঙ্গলমহল এলাকর খয়েরডাঙা, জাম্বুনি, আমখই প্রভৃতি গ্রামে শতাধিক মশারি ও মিষ্টি বিতরণ করেন। শুধুমাত্র বিতরণ করেই দায় ঝেড়ে ফেলা নয়, আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামগুলির মানুষজ যাতে প্রতিদিন রাতে এই মশারি ব্যবহার করেন তার জন্য সচেতনও করে দেন তাঁরা। কীভাবে মশারি ব্যবহার করতে হবে তাও হাতেকলমে দেখিয়ে দেন। কারণ অনেকেই মশারি কেবলমাত্র টাঙিয়ে শুয়ে পড়েন, সেটা ঠিক করে বিছানার সঙ্গে খুঁজে দেন না। মশারি টাঙানো যেমন দরকার, ঠিক সেইরকমই তা বিছানার সঙ্গে ভালোভাবে গুঁজে রাখাটাও জরুরি। নাহলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রতিযোগিতার আল্পনায় রাঙিয়ে গেল স্কুল, দেখতে ভিড় করলেন স্থানীয়রা
মশা থেকে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুতে আক্রান্তের ঘটনার পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে সাপের কামড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয় প্রতিবছর। সঠিক সময়ে অ্যান্টিভেনাম না পাওয়া গেলে বিপদ আরো বাড়ে৷ এদিকে এইসব বিপদ থাকলেও আর্থিক দুরবস্থা ও দীর্ঘদিনের অনভ্যাসের কারণে গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষরা সাধারণত মশারি টাঙানন না। তাঁদের কথা ভেবেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এই মহৎ উদ্যোগে অংশ নেওয়া অধ্যাপিকা পূজা কর্মকার জানান, "আমরা যে মশারি দান করছি তা নয়৷ আমাদের উদ্দেশ্য মানুষকে সচেতন করা। যাতে মশা ছাড়াও সাপের উপদ্রব থেকে রক্ষা পায় গ্রামের মানুষজন।"
গ্রামবাসীদের তরফ থেকে জানান হয়, ইলামবাজার চৌপাহাড়ি জঙ্গলে প্রায় ১৪ টি আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম আছে। তার মধ্যে তিনটি গ্রামে মশারি দেওয়া হয়৷ এর ফলে ওই গ্রামগুলির মানুষের বিপদ অনেকটাই কমবে বলে মনে করছেন তাঁরা।
মাধব দাস