চাষীরা অল্প বিনিয়োগ করে অনেক বেশি লাভের মুখ দেখার ফলে পোস্ত চাষের প্রতি তাদের প্রবণতা দেখা যায়। বিশেষ করে ডিসেম্বর জানুয়ারি মাস এলেই এই প্রবণতা বাড়ে। তবে এই চাষ অবৈধ হওয়ার কারণে প্রশাসনিক ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়। পোস্ত চাষ করা অবস্থায় কেউ যদি ধরা পড়েন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় এবং জেল হেফাজত হয়ে থাকে।
advertisement
সামনেই ডিসেম্বর মাস আর তার আগে যাতে বীরভূমে পোস্ত চাষ ঠেকানোর জন্য মানুষ সচেতন হন এবং এই চাষ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যায়, সেই বিষয়েই প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হল। মঙ্গলবার সিউড়ির ডিআরডিসি হলে পোস্ত চাষের প্রবণতা ঠেকাতে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করা হয়। যে প্রশাসনিক বৈঠকে বীরভূম জেলাশাসক বিধান রায়, বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী, আবগারি বিভাগের আধিকারিকরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যরা। পঞ্চায়েত সদস্যদের সামনে পোস্ত চাষের যে খারাপ দিকগুলি রয়েছে তা তুলে ধরা হয় এবং স্থানীয়দের সচেতন করার বিষয়ে জানানো হয়। কারণ প্রশাসন মনে করছে, পোস্ত চাষ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করার জন্য সাধারণ মানুষের সচেতন হওয়া সবচেয়ে জরুরী।
আরও পড়ুন: লাইফ সার্টিফিকেট এখনও জমা করেননি? আজই কিন্তু শেষ দিন! না-হলে হতে পারে সমস্যা
আরও পড়ুন: কন্যা সন্তানদের জন্য এই ১০ বিনিয়োগ পরিকল্পনা রাখুন, যা দেবে আজীবনের সুরক্ষা
একসময় বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় পোস্ত চাষের রমরমা দেখা গেলেও বর্তমানে পোস্ত চাষ নেই বললেই চলে। তা সত্ত্বেও এই বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন কোনোভাবেই গাফিলতি করতে চাইছে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এদিনের এই বৈঠক করা হয় এবং আগামী দিনে গ্রামে গ্রামে মানুষদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
মাধব দাস