লাইফ সার্টিফিকেট এখনও জমা করেননি? আজই কিন্তু শেষ দিন! না-হলে বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে!

Last Updated:

লাইফ সার্টফিকেট পেনশনভোগীদের জন্য একটি অত্যন্ত জরুরি নথি। পেনশনভোগী যে এখনও বেঁচে রয়েছেন, সেটাই প্রমাণ করে এই নথি।

#কলকাতা: লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার শেষ দিন আজই অর্থাৎ ৩০ নভেম্বর। তাই তা জমা দেওয়া না-হয়ে থাকলে আজই জমা করে দিতে হবে। না-হলে কিন্তু পড়তে হতে পারে বড়সড় সমস্যায়। তাই সমস্যা এড়াতে আজকেই স্থানীয় পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে এই লাইফ সার্টিফিকেট জমা করে দিতে হবে। তবে যাঁরা বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না, তাঁদের জন্যও রয়েছে সুবিধা। কারণ ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং কিংবা অনলাইনেও জমা  সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক, লাইফ সার্টিফিকেটের গুরুত্ব এবং তা আজকের মধ্যে জমা না-করলে কী কী সমস্যা হতে পারে।
লাইফ সার্টিফিকেট কী?
লাইফ সার্টফিকেট পেনশনভোগীদের জন্য একটি অত্যন্ত জরুরি নথি। পেনশনভোগী যে এখনও বেঁচে রয়েছেন, সেটাই প্রমাণ করে এই নথি।পেনশন প্রদানের আগে সরকার এবং বিমা কোম্পানিগুলি পেনশনভোগীকে এই শংসাপত্র তৈরির পরামর্শ দেয়, যা সাধারণত বছরে এক বার প্রয়োজন হয়। বিতরণকারী সংস্থাকে জীবন শংসাপত্র জারি করার জন্য পেনশনপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে শারীরিক ভাবে উপস্থিত থাকতে হয়। মহামারীর সময়ে কেন্দ্র কোভিড বিধি-নিষেধ চলাকালীন ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের সুবিধা তৈরি করেছে, যা পেনশনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রামাণ্য নথি হিসেবে বিবেচিত হয়।
advertisement
advertisement
লাইফ সার্টিফিকেটের গুরুত্ব কী?
প্রতি মাসে যাতে পেনশন হাতে পেতে কোনও অসুবিধা না-হয়, তার জন্য লাইফ সার্টিফিকেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়ের মধ্যে জমা দেওয়া না-হলে পেনশন পেতে সমস্যা হয়, এমনকী পেনশন বন্ধ পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। প্রসঙ্গত, অধিকাংশ অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির কাছে পেনশনই আয়ের একমাত্র উৎস। অনেকেই বয়সের কারণে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে উপস্থিত হতে পারেন না। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্র ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের সুবিধা এনেছে। এর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি ডিজিটাল উপায়েই সম্পন্ন হয়।
advertisement
পেনশনভোগীরা কী ভাবে জীবন শংসাপত্র জমা দিতে পারবেন?
জীবন প্রমাণ ওয়েবসাইট https://jeevanpramaan.gov.in/ বা অ্যাপের মাধ্যমেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া যেতে পারে। পেনশনভোগী তাঁর নাম, মোবাইল নম্বর, আধার নম্বর এবং অন্যান্য পেনশন সম্পর্কিত জরুরি তথ্য দিয়ে বাড়ি থেকেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেন। বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণের জন্য পোর্টালটি আধার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। শুধু তা-ই নয়, নিকটবর্তী নাগরিক পরিষেবা কেন্দ্র কিংবা ব্যাঙ্ক অথবা পোস্ট অফিসেও ডিজিটাল ভাবে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার সুবিধা আছে।
advertisement
যাঁরা অনলাইন প্রক্রিয়ায় তেমন স্বচ্ছন্দ নন, তাঁরা পেনশন বিতরণকারী ব্যাঙ্কে যেতে পারেন। সেখানে একটি ফর্ম পূরণ করতে হবে। এ-ছাড়াও লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার আর একটি পদ্ধতি হল ডোরস্টেপ ব্যাঙ্কিং। এক জন পোস্টম্যান কিংবা স্বীকৃত কর্মকর্তাও অবসরপ্রাপ্তদের এই প্রক্রিয়ায় সাহায্য করতে পারেন। আবার অবসরপ্রাপ্ত প্রবাসীরা যদি জীবন শংসাপত্র গ্রহণের জন্য দেশে উপস্থিত হতে না-পারেন, তবে সে-ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটটি ব্যাঙ্ক অফিসার, নোটারি, ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা ভারতীয় কূটনৈতিক এজেন্টের মতো আধিকারিকদের মাধ্যমেই জারি করা যেতে পারে। আবার যদি এক জন এনআরআই পেনশনভোগী ভারতীয় দূতাবাস বা কনস্যুলেটে যেতেও অক্ষম হন, তা-হলে সে-ক্ষেত্রে তাঁকে সেই বিষয়ে চিকিৎসকের জারি করা সার্টিফিকেট-সহ লাইফ সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নথি কর্তৃপক্ষের কাছে ই-মেলের মাধ্যমে জমা করতে হবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/ব্যবসা-বাণিজ্য/
লাইফ সার্টিফিকেট এখনও জমা করেননি? আজই কিন্তু শেষ দিন! না-হলে বড় সমস্যায় পড়তে হতে পারে!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement