কন্যা সন্তানদের জন্য এই ১০ বিনিয়োগ পরিকল্পনা রাখুন, যা দেবে আজীবনের সুরক্ষা
- Published by:Shubhagata Dey
- trending desk
Last Updated:
Investment Plans for your girl child: কন্যা সন্তানদের শিক্ষা, সুরক্ষা এবং বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতি বছর ১১ অক্টোবর দিনটিকে আন্তর্জাতিক কন্যা সন্তান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই উপলক্ষে কন্যা সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে ১০টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হল।
*কন্যা সন্তানদের শিক্ষা, সুরক্ষা এবং বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতি বছর ১১ অক্টোবর দিনটিকে আন্তর্জাতিক কন্যা সন্তান দিবস হিসেবে পালন করা হয়। এই উপলক্ষে কন্যা সন্তানদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে ১০টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হল। এই ১০টি প্রকল্পের মধ্যে যে কোনও একটায় বিনিয়োগ করলেও কন্যা সন্তান প্রকৃত অর্থেই থাকবে দুধে ভাতে।
advertisement
*কন্যা সন্তানকে আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করতে চাইলে তার জন্মের পরেই বিনিয়োগ শুরু করা উচিত। এতে অনেকটা সময় পাওয়া যাবে। কিন্তু তা যদি না-হয়ে থাকে তা-হলে আজকের চেয়ে ভাল দিন আর পাওয়া যাবে না। বিনিয়োগের জন্য মিউচুয়াল ফান্ড, সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা, পিপিএফ, এফডি, আরডি-সহ একাধিক বিকল্পের হদিশ দেওয়া হল। এখান থেকে নিজের লক্ষ্য এবং বাজেট অনুযায়ী প্রকল্প বেছে নিলেই হল।
advertisement
*সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনা: কন্যা সন্তানদের আর্থিক নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সর্বোচ্চ দুই কন্যার নামে ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে সুকন্যা সমৃদ্ধি যোজনায় অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এতে বছরে সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১.৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা যেতে পারে। সরকার বর্তমানে এই প্রকল্পে ৭.৬ শতাংশ হারে সুদ দিচ্ছে। কন্যার ২১ বছর পূর্ণ হলে টাকা তোলা যাবে।
advertisement
advertisement
*এনএসসি-তে মোটা অঙ্কের রিটার্ন: ন্যাশনাল সেভিং সার্টিফিকেট হল পোস্ট অফিসের একটি বিশেষ স্কিম, এখানেও কন্যা সন্তানের জন্য বিনিয়োগ করা যায়। এর উপর মেলে গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্ন। সরকার বর্তমানে এনএসসিতে ৭.৬ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদ দিচ্ছে। এতে সর্বনিম্ন ১,০০০ টাকা বিনিয়োগ করা যায়, আর সর্বোচ্চ বিনিয়োগের কোনও সীমা নেই। এর মেয়াদ হয় ৫ বছর। এমনকী রিটার্নের উপর কর ছাড়ও পাওয়া যায়।
advertisement
advertisement
*ইউলিপ-এ দ্বিগুণ সুরক্ষা: ইউনিট লিঙ্কড ইন্স্যুরেন্স প্ল্যান হল কন্যা সন্তানের জন্য একটি দুর্দান্ত বিনিয়োগ বিকল্প। এতে জীবন বিমা সুরক্ষার সঙ্গে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায়। মা-বাবার মৃত্যু হলে, বিমা কোম্পানি প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকে। এ-ছাড়াও, মা-বাবার অনুপস্থিতিতে বিমা কোম্পানি কন্যা সন্তানের শিক্ষার খরচও জোগায়। এমনকী এককালীন থোক টাকাও প্রদান করে থাকে। আসলে সব দিক থেকেই এই স্কিমের জুড়ি মেলা ভার।
advertisement
*এসআইপি-তে তৈরি হবে বড় ফান্ড: মিউচুয়াল ফান্ডের সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের মাধ্যমে কন্যা সন্তানের জন্য বড় তহবিল তৈরি করা যায়। এর জন্য ব্যাঙ্কে এসআইপি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এই স্কিমে জমা করা অর্থ ইক্যুইটি, ঋণ এবং মিশ্র তহবিলে বিনিয়োগ করা হয়, যা ভবিষ্যতে মোটা অঙ্কের রিটার্ন পেতে সাহায্য করে।
advertisement
advertisement
*পিপিএফ সবচেয়ে ভাল: কন্যা সন্তানের নামে পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্টও খোলা যায়। এর মেয়াদ সাধারণত ১৫ বছরের হয়। তবে চাইলে আরও ৫ বছর বাড়ানো যায়। ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে এই অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতি মাসে ন্যূনতম ৫০০ টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা যেতে পারে। বার্ষিক সর্বাধিক বিনিয়োগ করা যেতে পারে ১.৫ লক্ষ টাকা। এর উপর ৭.১০ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যায়।
advertisement
*গোল্ড ইটিএফ-ও ভাল বিকল্প: বার বা গয়না আকারে সোনা কেনার চেয়ে মা-বাবার উচিত মেয়ের জন্য গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করা। এমনই পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। এতে সোনাও থাকে সম্পূর্ণ নিরাপদে। এমনকী লকারেরও প্রয়োজন হয় না, আর চুরি যাওয়ার ভয়ও থাকে না। স্টক মার্কেটের মতো এটাও দুর্দান্ত রিটার্ন দেয়। অন্য দিকে আবার, সোনার বাজার মূল্য বাড়লে গোল্ড ইটিএফ-এর দামও বেড়ে যাবে।
advertisement
*এফডি এভারগ্রিন: কন্যা সন্তানের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করা সব সময়ই সেরা পছন্দ। নিশ্চিত আয়ের সঙ্গে বিনিয়োগ করতে চাইলে এফডি-র কোনও বিকল্প নেই। যে-হেতু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এখান থেকে টাকা তোলা যায় না, তাই দীর্ঘ মেয়াদে এখানে বড় তহবিল তৈরি করা অনেকটাই সহজ। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যাঙ্কে এফডি-তে ৭ শতাংশ হারে সুদ পাওয়া যাচ্ছে।