অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে মুহুর্মুহু বোমাবাজির পাশাপাশি চলে একের পর এক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ। আর সেই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় আটজনের। আহতদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয় একজনের এবং ৪০ দিন পর মৃত্যু হয় আরও একজনের। এক রাতেই উপ-প্রধান সহ মৃত্যু হয় একই গ্রামের মোট ১১ জনের। ফলে এবারের খুশির ইদে বগটুইয়ের স্বজনহারাদের চোখে দেখা গেল জল৷
advertisement
অন্যান্য বছর ইদ উপলক্ষে এই গ্রামে নিকটবর্তী ইদগাঁহ ময়দানে ঘটা করে নামাজের আয়োজন করা হয়। তবে এই বছর রীতি মেনে সেই আয়োজন হলেও তাদের চোখে মুখে তেমন খুশি নেই। যতই হোক, গ্রামেরই ১১ জন প্রাণ হারিয়েছেন নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়। এছাড়াও অন্যান্য বছর জলসা সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে, তাও এই বছর বাতিল করা হয়েছে। দুঃখ নিয়ে কেবলমাত্র রীতি এবং ছোটদের কথা মাথায় রেখেই তারা এই বছর ইদ পালন করছেন বলে জানিয়েছেন।
খুশির দিনে স্বজনহারা নুরেন্নেসা বিবি জানিয়েছেন, "আগে খুব আনন্দ করে ইদ পালন করা হতো। সবাই এই আনন্দে শামিল হতাম। কিন্তু এই বছর মা, কাকিমা কেউ নেই।" এই নুরেন্নেসা বিবি হলেন মৃত আতাহার বিবির মেয়ে। পাঁচ বছর আগে তার বিয়ে হয়। তবে প্রতি বছর তিনি ইদের দিন মায়ের বাড়ির টানে ছুটে আসেন। এই বছরও তিনি এখানেই রয়েছেন। তবে আগের মত আর তাদের মনে ইদের খুশি নেই। বলা যায়, বগটুই গ্রামের ইদ এবার জৌলুসহীন।
Madhab Das