এই অপা বাড়িটি এখন একপ্রকার পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় এখানকার কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করা ঝর্ণা দাস বাড়ির মালিকদের গ্রেফতার হওয়ার তিন মাস আগে থেকেই বেতন পাননি।
আরও পড়ুনঃ বীরভূম ঘুরতে গিয়ে এই জায়গাগুলো দেখেছেন? না হলে আপনার বড় মিস
ঝর্ণা দাস এখানে কেয়ারটেকার হিসাবে কাজ করার জন্য প্রতি মাসে ৪০০০ টাকা বেতন পান। কিন্তু সেই ৪০০০ টাকা করে বেতনও বাকি রয়েছে এপ্রিল মাস থেকে। এরপর দুজন গ্রেফতার হওয়ার পর সেই টাকা পাওয়া এখন দুঃসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেতনের টাকা পেতে তিনি এবং তার স্বামী নিখিল দাস সিবিআই ও ইডি আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ হয়নি।
advertisement
বর্তমানে নিখিল দাস বিভিন্ন জায়গায় দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। আর ঝর্ণা দাস অপা বাড়ির দেখাশোনা করেন। তারা দুজনেই এই বাড়িতে এখন রয়েছেন। বেতন না পেলেও ঝর্ণা দাস অন্য কোন জায়গায় নিযুক্ত হতে পারছেন না। কারণ হিসাবে তিনি দাবি করেছেন, এই বাড়ির সব চাবি রয়েছে তার কাছে। তিনি এখন কাকে সেই চাবি দেবেন তা জানেন না। যে কারণে বাড়ি ছেড়ে যেতে পারছেন না এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় কবে ছাড়া পান তার দিকে তাকিয়ে। কারণ তারা দু'জন ছাড়া পেলে তার বকেয়া বেতন তিনি পেতে পারেন এবং চাবি তাদের হাতে হস্তান্তরিত করতে পারেন।
পাশাপাশি ঝর্ণা দাস জানিয়েছেন, তিনি যখন এখানে কেয়ারটেকারের কাজে নিযুক্ত হন তখন তার বেতন ছিল সাড়ে তিন হাজার টাকা। পরে বেতন বাড়াতে বললে সেই বেতন বাড়িয়ে করা হয় চার হাজার টাকা। গত দুর্গাপুজোর সময় বেতন বৃদ্ধি করার কথা থাকলেও তা আর হয়নি।
Madhab Das