জয়ী কংগ্রেস সদস্যের দল পরিবর্তনে বীরভূমের আলুন্দা পঞ্চায়েতে প্রধান নির্বাচন নিয়ে জটিলতা কাটল বলে মনে করা হচ্ছে। সিউড়ির বিধায়ক তথা তৃণমূলের বীরভূম জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে তৃণমূলের যোগ দেন পূর্ণিমা দাস। পূর্ণিমার সঙ্গেই তাঁর স্বামী তথা কংগ্রেসের আলুন্দা অঞ্চল সভাপতি দিলীপ দাস এবং আরও কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোন দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে পুরুলিয়ার সেতুতে ধস, অবস্থা দেখলে ভয় পেয়ে যাবেন
১৭ আসনের আলুন্দা পঞ্চায়েতের ৯ টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু ওই পঞ্চায়েতের প্রধান পদটি তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলার জন্য সংরক্ষিত। অথচ তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের কেউই তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলা নন। ফলে সংখ্যা গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও আলুন্দা পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। ওই পঞ্চায়েতে কংগ্রেসের একজন এবং বিজেপির একজন তপশিলি জাতিভুক্ত মহিলা জয়ী হয়েছিলেন। তাঁদেরই অন্যতম পূর্ণিমা দলবদল করা যাবতীয় জটিলতা কেটে গেল বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।
যদিও কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা পূর্ণিমা দাসের দাবি, ‘প্রধান হওয়ার জন্য নয়, মমতা দিদির উন্নয়নে শামিল হওয়ার জন্যই আমি স্বেচ্ছায় তৃণমূলের যোগ দিয়েছি।’ দল যাকে মনে করবে তাঁকেই প্রধান করবে বলে জানান ওই পঞ্চায়েত সদস্য। এই প্রসঙ্গে বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে বহু জয়ী বিরোধী সদস্য আমাদের দলে যোগ দিতে চাইছেন। আমরা তাঁদের মধ্যে যোগ্যদের দলে নিচ্ছি। আমিও একসময় কংগ্রেস করতাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একসময় কংগ্রেস করতেন। সেখান থেকে বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা তৃণমূল তৈরি করেছিলাম। পূর্ণিমাও তৃণমূলের উন্নয়নে শামিল হতেই আমাদের দলে এসেছে। আরও অনেকেই আসবেন। আপনারা ম্যাজিক দেখতে থাকুন।
এদিকে এই দলবদল প্রসঙ্গে কংগ্রেসের বীরভূম জেলা কার্যকরী সভাপতি চঞ্চল চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল রিফিউজিদের দল। ওরা অন্যের দল ভাঙিয়ে নিজেদের দল বানায়। গোটা রাজ্যেই বিরোধী প্রার্থীরা তৃণমূলের চাপের কাছে নতিস্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছে। এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। তবে আমাদের কোনও কর্মী দলবদল করেনি।
শুভদীপ পাল