রামপুরহাট থেকে বাসে এখানে সরাসরি আসা যায়। সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে মল্লারপুর স্টেশন অবস্থিত হলেও মন্দিরগুলি স্টেশন থেকে বেশ কিছুটা দূরে, অতএব বাসে আসাই সুবিধের। এলাকা সূত্রে জানা গিয়েছে, অতীতে মল্লারপুর যে কত সমৃদ্ধশালী ছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় শিবগঞ্জে এর মন্দির-পল্লি দেখে। চতুর্দিকে প্রাচীর দিয়ে ঘেরা এক বিরাট চত্বরের মধ্যে মল্লেশ্বর শিব মন্দির ব্যতীত বেশিরভাগই আকারে ছোট। প্রধান তোরণটি দ্বিতল এবং উত্তর দিকে অবস্থিত। তোরণদ্বারের ওপর নহবতখানা। পূর্ব দিকেও শিববাড়িতে প্রবেশের একটি পথ আছে। শিববাড়ির অভ্যন্তরস্থ মন্দিরগুলি নানা অলংকরণ, দেবদেবী, মূর্তির এবং কীর্তনের দৃশ্যাবলিতে সমৃদ্ধ। মল্লেশ্বর শিব মন্দিরের কাছে একটি মন্দিরে সিদ্ধেশ্বরী দেবীর একটি শিলামূর্তি প্রতিষ্ঠিত আছে। সিঁদুরচর্চিত মুখমণ্ডলে উজ্জ্বল হয়ে আছে জাগ্রত ত্রিনয়ন। এই সিদ্ধেশ্বরী দেবীকে মল্লেশ্বর শিবের শক্তিস্বরূপা বলা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘আমি উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করেছি!’ ফেলের খুশিতে ভিডিও বানিয়ে যা করল ছাত্র! ভাইরাল
আরও পড়ুন:
মল্লেশ্বর শিব সম্পর্কে এ অঞ্চলে একাধিক জনশ্রুতি আছে। প্রাচীনকালে মল্লারপুর ছিল ঘোর অরণ্যসংকুল স্থান। শোনা যায় পল্লিবাসী আরও কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে মল্লনাথ এখানে খুঁড়তে শুরু করে। প্রথমে উদ্ধার হয় ঘড়াভর্তি গুপ্তধন। তারপর কীসের ওপর যেন কোদাল প্রতিহত হতেই আগুন জ্বলে ওঠে অকস্মাৎ। মল্লনাথ শুনতে পায় দৈববাণী–- ‘আমি জয়দ্রথ পূজিত দেব সিদ্ধিনাথ। এক্ষণে তোমার নাম অনুসারে মল্লনাথ বা মল্লেশ্বর নামে আত্মপ্রকাশে অভিলাষী। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও মন্দিরাদি নির্মাণের উদ্যোগ নাও তুমি।’ মল্লেশ্বরের মস্তকে এখনও সেই কোদালের ক্ষতচিহ্ন বর্তমান। গুপ্তধন পেয়ে মল্লনাথ হলেন রাজা মল্লনাথ। আর সেই মল্লনাথের নামানুসারে এই জায়গাটির নামও হল মল্লারপুর। সিদ্ধিনাথ শিব সম্পর্কেও এই অঞ্চলে একাধিক জনশ্রুতি আছে।
Subhadip Pal