TRENDING:

Knowledge Story: বাংলার খেলা কি জানেন! না ক্রিকেট তো নয়, ফুটবলও নয়, প্রত্যন্ত জেলাতেও বসে এই খেলার আসর

Last Updated:

Knowledge Story: বাঙালি হওয়ায় গর্ববোধ, পশ্চিমবঙ্গে নিজস্ব খেলা কী জানেন?

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম:  খেলাধুলো সকলেই ভালবাসেন৷ আর বাঙালিদের ক্রীড়াপ্রেম তো সর্বজনবিদিত৷ কিন্তু জানেন কি বাংলার নিজের খেলা রয়েছে৷ অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের কোটি কোটি বাঙালির নিজস্ব খেলা রয়েছে৷ না সেটা কিন্তু আবার ক্রিকেট বা ফুটবল নয়৷
advertisement

খো খো খেলার নাম শুনেছেন অনেকে আবার অনেকে আছেন যারা এখনও পর্যন্ত এই খেলার নাম শোনেনি। তবে কী এই খেলা ! এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো খেলার মাঠ—যা যেকোনওউপযুক্ত অন্দর বা বাইরের স্থাপন করা যেতে পারে,একটি আয়তক্ষেত্র ২৯মিটার (৩২গজ) লম্বা এবং ১৬ মিটার (১৭ গজ) চওড়া এবং মাঠের উভয় প্রান্তে একটি উল্লম্ব কাঠের পোস্ট রাখা হয়।প্রতিটি খো-খো দল ১২ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে গঠিত, কিন্তু একটি প্রতিযোগিতা চলাকালীন প্রতিটি দল থেকে মাত্র ৯ জন খেলোয়াড় মাঠে নামে।

advertisement

আরও পড়ুন – Free Gold Offer: সেল, সেল, সেল! চৈত্র সেলে ফ্রি সোনা, খেতে হবে শুধু এই স্টলের চা

একটি ম্যাচ দুটি ইনিংস নিয়ে গঠিত। একটি ইনিংসে, প্রতিটি দল তাড়া করার জন্য ৭ মিনিট এবং রক্ষণের জন্য ৭ মিনিট সময় পায়। ধাওয়া করা দলের আটজন সদস্য মাঠের কেন্দ্রীয় গলিতে ৮টি স্কোয়ারে বসে থাকে, তারা যে দিকে মুখ করে থাকে।

advertisement

View More

নবম সদস্য হল সক্রিয় ধাওয়াকারী (কখনও কখনও আক্রমণকারী হিসাবে উল্লেখ করা হয়), যে পোস্টগুলির যে কোনও একটিতে তার সাধনা শুরু করে। সক্রিয় চেজার হাতের তালু দিয়ে সেই ব্যক্তিকে স্পর্শ করে প্রতিপক্ষকে নক আউট করে। ডিফেন্ডাররা (যাকে রানার্সও বলা হয়) মাঠের সীমানার বাইরে না যাওয়ার সময় চেজারের স্পর্শ এড়িয়ে সাত মিনিট খেলার চেষ্টা করে। দৌড়বিদরা ধাওয়া করা এলাকায় প্রবেশ করে (আয়তক্ষেত্র নামে পরিচিত) তিনটি ব্যাচে। তৃতীয় রানার চলে যাওয়ার সাথে সাথে তিনজনের পরবর্তী ব্যাচকে আয়তক্ষেত্রে প্রবেশ করতে হবে। দৌড়বিদদের  আউট  ঘোষণা করা হয় যখন তারা সক্রিয় চেজার দ্বারা স্পর্শ করা হয়, তারা আয়তক্ষেত্র থেকে বেরিয়ে যায়, অথবা তারা আয়তক্ষেত্রে দেরিতে প্রবেশ করে। সক্রিয় ধাওয়াকারী দলের যে কোনওসদস্যকে মাঠের মাঝখানে একটি স্কোয়ারে কুঁকড়ে বসে থাকা, দখল নিতে এবং তালু দিয়ে পিঠে টোকা দিয়ে এবং জোরে  খো  বলে তাড়া চালিয়ে যেতে পারে।

advertisement

ধাওয়া  খো- এর একটি সিরিজের মাধ্যমে তৈরি করা হয় কারণ তাড়া করে যারার তারা রিলে পদ্ধতিতে তাদের তাড়া চালিয়ে যায়। প্রসঙ্গত জানা যায় প্রথম খো-খো টুর্নামেন্ট ১৯১৪ সালে সংগঠিত হয়েছিল এবং ১৯৫৫ সালে গঠিত খো-খো ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (KKFI) এর পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৫৯ সালে বিজয়ওয়াড়াতে প্রথম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। খেলাটিকে জনপ্রিয় করার জন্য দুর্দান্ত প্রচেষ্টা, যা এখন ভারত জুড়ে স্কুল থেকে জাতীয় দল পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে খেলা হয়।তবে বীরভূম খো খো কমিটির সেক্রেটারি সুশোভন মন্ডল আমাদের জানান বীরভূম জেলা মূলত খো খো খেলাতে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।আর সেই কারণেই এই খেলাকে আবারও ফিরিয়ে আনার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

advertisement

অন্যান্য জেলাতে এই খেলা দেখা গেলেও বীরভূম জেলাতে এই খেলার দেখা পাওয়া প্রায়যায় না।বীরভূম জেলা ব্যাপী এই খো খো খেলার কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় সিউড়িশহরের বেণীমাধব ইনস্টিটিউশন স্কুল এ দুপুর ১২:৩০ । উপস্থিত ছিলো ১৪৫ জন ছাত্র ৬৫ ছাত্রী। বিভিন্ন কলেজ থেকে ও ছাত্র ছাত্রী খেলায় অংশ গ্রহণ করেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজ থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন। এই কর্মশালা থেকেই জেলার খো খো দল রাজ্য স্তরে খেলায় অংশগ্রণমূলক করবে।

Souvik Roy

বাংলা খবর/ খবর/বীরভূম/
Knowledge Story: বাংলার খেলা কি জানেন! না ক্রিকেট তো নয়, ফুটবলও নয়, প্রত্যন্ত জেলাতেও বসে এই খেলার আসর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল