জানা গিয়েছে, রাধারানী কোনাই এবং প্রভাত কোনাইয়ের মেয়ে ও জামাই তাঁদের বাড়িতে আসে। তাঁদের এই আগমণের পরিপ্রেক্ষিতে রাধারানী কোনাই তাঁর স্বামী প্রভাত কোনাইকে মাংস আনতে বলেন। মাংস আনা নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। দুপুরে ঝামেলা বাঁধার পর তা মিটে যায়। তবে পরে আবার প্রভাত কোনাই মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে রাতে রাধারানী কোনাইকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ৷
advertisement
আরও পড়ুন- নির্দেশিকা সত্ত্বেও স্কুল শিক্ষকেরা কেন পড়াচ্ছেন টিউশন? বিক্ষোভ গৃহশিক্ষকদের
মৃত রাধারানী কোনাইয়ের ছেলে সুখেন কোনাই জানান, "বাড়িতে বোন আসার পর মাংস আনতে বলা নিয়ে ঝামেলা বাঁধে বাবা ও মায়ের মধ্যে। সেই ঝামেলার সময় মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিল বাবা। কিন্তু পরে ঝামেলা মিটে যায়। রাতে বাবা মদ্যপ অবস্থায় ফিরে আসে বাড়িতে। সেই সময় মা ভাইয়ের সঙ্গে শুয়েছিলেন। তখন রাত সাড়ে আটটা হবে। হঠাৎ কোদাল দিয়ে মাকে কোপাতে থাকে বাবা।"
আরও পড়ুন- স্পঞ্জ আয়রন কারখানা খোলার দাবিতে বিক্ষোভ শ্রমিকদের
ঘটনার পর তড়িঘড়ি ওই মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় নলহাটির লোহাপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন তাঁকে। এখানে আসার পর চিকিৎসকেরা চিকিৎসা শুরু করলেও রোগীকে বাঁচানো যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। এরপরই গভীর রাতে মৃত্যু হয় রাধারানী কোনাইয়ের।
সামান্য মাংস আনাকে কেন্দ্র করে এমন অশান্তি এবং সেই অশান্তির জেরে প্রাণ দিতে হলো পরিবারের এক সদস্যকে। আর তাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।
Madhab Das