কিন্তু লাভপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় তাদের মেয়ে রাণীজা পারভীন মৃত এবং তখনই পরিবারের লোকজন বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সেখানে। পরিবারের অভিযোগ তাদের মেয়েকে পরিকল্পনা মাফিক মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করার পর স্কুল কর্তৃপক্ষই মেরে ফেলেছে। এবং তাই তাদেরকে ফোন করে বলা হয়েছিল তাদের মেয়ে অসুস্থ। কিন্তু কেন মৃতদেহকে স্কুলে না রেখে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হল কেই বা হাসপাতালে নিয়ে গেল তাদের নাম জানতে চাইছে পরিবার। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেবে ততক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি তাদের চলবে। প্রসঙ্গত এই বিক্ষোভ চলাকালীন বিদ্যালয়ে গেটের সামনে পুলিশ ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একপ্রকার ধস্তাধস্তিও হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: আগের হিসাব না পেলে এক কানাকড়িও নয় রাজ্যকে, আবাস যোজনা নিয়ে মন্ত্রী গিরিরাজের কাছে দরবার দিলীপের
পরিবারের লোকজন জানাই স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি প্রশাসন এবং তাদের সেই জন্যই ধস্তাধস্তি হয় প্রশাসনের সঙ্গে। ঘটনাস্থলে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছেছে লাভপুর থানার পুলিশ পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে এই ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরিবারের অভিযোগ যতক্ষণ না পর্যন্ত দোষী ব্যক্তি ধরা পড়বে ততক্ষণ পর্যন্ত মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হবে না।
আরও পড়ুন: ৬ দিন নয়? এবার থেকে সপ্তাহে ৫ দিন খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক, আবার নতুন নিয়ম?
পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের এর অভিযোগ এই স্কুলে লাগাতার এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই আছে। মাঝে মাঝেই বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী এই স্কুল ছেড়ে অন্য কোথাও পাড়ি জমায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সরাসরি অভিযোগ স্কুলের প্রধানের বিরুদ্ধে। যদিও এই বিষয়ে স্কুলের কোন বক্তব্য বা মন্তব্য এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই ঘটনা ঘিরে যথেষ্টই গন্ধমে রয়েছে লাভপুর।