রাজ্য পালা বদলের আগে বীরভূম জেলা সভাপতি ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ও জেলা যুব সভাপতি ছিলেন নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ। পালা বদলের পর অনুব্রতর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে কাজলের। তারপর থেকে দলের কোন পদেই ছিলেন না তিনি। এক প্রকার রাজনীতির মূল স্রোত থেকে ব্রাত্য ছিলেন কাজল। শুধুমাত্র নানুর ব্লকের দুটি গ্রামে সীমাবদ্ধ ছিল কাজল শেখের প্রতাপ। তবে নানুরের বিভিন্ন জায়গায় অনুব্রত গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজল শেখ গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে প্রায় সময় বোমাবাজি, সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠত।
advertisement
কিন্তু অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরে রাজনৈতিক সমীকরণে বিপুল পরিবর্তন হয়। অনুব্রত বিরোধী গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত কাজল শেখ হয়ে ওঠেন জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য। প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ১৯ নম্বর আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কাজল। জয়লাভ করেন প্রায় ৪৪ হাজার ভোটে। এবার সেই কাজলকে সভাধিপতি পদে বসালো ঘাসফুল শিবির।
শুভদীপ পাল