শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কংকালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেবডাঙ্গা আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত একটি গ্রাম। উন্নয়নের আলো সেভাবে পৌঁছায়নি এই গ্রামে।
আরও পড়ুন- সস্তা, সস্তা, মেগা সস্তা! এই গাড়ি একবার কিনে ফেললে পকেটে পড়বে না একটুও চাপ
পাশাপাশি শিক্ষার আলো থেকেও এতকাল বঞ্চিত ছিল গ্রাম৷ তবে এই প্রথম এই গ্রাম থেকে ৪ জন মেয়ে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হল। বোলপুর পারুলডাঙ্গা শিক্ষানিকেতন আশ্রম বালিকা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী বাসন্তি টুডু, লতিকা মুর্মু, মিরু হাঁসদা ও গুসকড়ার পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক স্কুলের ছাত্রী সুমিত্রা টুডু এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এর আগে এই গ্রাম থেকে কোন মেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেইনি, উত্তীর্ণ হওয়া তো দূরের কথা৷
advertisement
আরও পড়ুন- দরমার জানলা, মাটির দেওয়াল কি প্রতিভাকে আটকায়, না! বাবাকেও হারিয়েও সেরা সোমা
নারী শিক্ষার অগ্রগতি নিয়ে আন্দোলন চলছে বহু দিন ধরেই৷ সেই আন্দোলনের নজির বলা যায় ৪ আদিবাসী কন্যার সাফল্যকে৷ বাবা-মায়ের সঙ্গে মাঠে ধান পোতা, ধান কাটার কাজ করে তারা৷ তার ফাঁকেই পড়াশোনা। তারা জানায়, এর আগে কোন মেয়ে সেভাবে পড়াশোনা করতে পারেনি৷ কারন পরিকাঠামো নেই, বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থা, নেই পড়াশোনার পরিবেশ। সদ্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই গ্রামটিকে দত্তক নিয়েছে৷ তাদের তত্ত্বাবধানেই পড়াশোনা চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে তারা৷
সুমিতা টুডু, বাসন্তি টুডু, মেরু হাঁসদা বলে, এই গ্রামে আগে কোন মেয়ে মাধ্যমিক পাশ করেনি৷ কারন কোন রকম সুযোগ সুবিধা ছিল না৷ টিউশন পড়তে পারতাম না। আমাদের গ্রামের অবস্থাও ভালো নয়৷ সবাই মাঠে কাজ করে৷ আমরাও ধান পোতার কাজ করি৷ আমরা পাশ করায় গ্রামের সবাই খুব খুশি। আগামীতে গ্রামের বাকি মেয়েদের বলব তারাও যেন পড়াশোনা করে আরও ভালো ফল করে।\”
Subhadip Pal