ঘটনার সূত্রপাত ২০২০ সালে। দুবরাজপুরের আরোয়া গ্রামে পানীয় জলের কল বসানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই মামলারই শুনানি ছিল দুবরাজপুর আদালতে। ২২ জন অভিযুক্ত আদালতের নির্দেশমত হাজিরা দেয়। ওই অভিযুক্তদের মধ্যে নাম ছিল পিন্টু হাজরার। কিন্তু সে আদালতে আসেনি। পরিবর্তে বাবা দিলীপ হাজরাকে পাঠায়। তিনি মিথ্যে পরিচয় দিয়ে নিজেকে পিন্টু হাজরা বলে দাবি করেন! শুনানি শুরু হলে পিন্টু হাজরাকে ডাকা হয়। সেই সময় দিলীপ হাজরা দিব্যি বিচারকের সামনে গিয়ে নিজেকে ছেলে পিন্টু বলে পরিচয় দেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বালি বোঝাই ট্রাক্টরের ধাক্কায় মর্মান্তিক মৃত্যু যুবকের
কিন্তু তাঁর আচরণ দেখে সন্দেহ হয় বিচারকের। তিনি ওই ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। একসময় বিচারকের প্রশ্নের মুখে ভেঙে পড়ে দিলীপ হাজরা স্বীকার করেন, ছেলের হয়ে মিথ্যে পরিচয় দিয়ে আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন। এরপরই দুবরাজপুরের অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জজ, ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক দিপালী শ্রীবাস্তব (সিনহা) ৪১৬ আইপিসি ধারায় দিলীপ হাজরার বিরুদ্ধে মামলার রুজু করার জন্য দুবরাজপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন। এরপর ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দিলীপ হাজরাকে দুবরাজপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে ১০০০ টাকার বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। পাশাপাশি তাঁকে ১৪ মার্চ ফের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
অভিযুক্ত ছেলের হয়ে বিচারকের সামনে বাবার প্রক্সি দেওয়ার ঘটনায় দুবরাজপুর আদালতের আইনজীবি ও কর্মীরা যারপনাই অবাক হয়েছেন। আগামী দিনে এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য আদালতের আইনজীবি ও ল-ক্লার্করা আরও সতর্ক থাকবেন বলে জানিয়েছেন।