বীরভূমের এই কৃষিজীবি মানুষগুলি জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর আগে তারা তাদের সঞ্চয় থেকে চাষ করে থাকেন এবং সেই চাষ কেমন হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করেই বাজেট তৈরি করেন। আবার এই সময় চাষ হলে চাষের জন্য বহু মানুষ শ্রমিকের কাজ করেন এবং সেই থেকেও তাদের রোজগার হয়।
আরও পড়ুনঃ বন্ধ পাথর শিল্প, সমস্যায় প্রচুর মানুষ, কারণটা কী?
advertisement
কিন্তু এই বছর বৃষ্টি স্বাভাবিক না হওয়ায় চাষ যেমন হচ্ছে না ঠিক তেমনি আবার চাষ না হওয়ায় চাষের কাজে লোকের প্রয়োজনও হচ্ছে না। স্বভাবতই একদিকে যেমন বৃষ্টির অভাবে 'মার' খাচ্ছেন জমির মালিকরা, ঠিক তেমনি আবার 'মার' খাচ্ছেন শ্রমিকরাও। চাষাবাদের সঙ্গে যুক্তরা জানিয়েছেন, 'অন্যান্য বছর চাষের কাজের জন্য শ্রমিকদের খুঁজে পাওয়া যায় না। তাদের এতটাই চাহিদা থাকে। কিন্তু এই বছর তারাও বসে রয়েছেন, আবার আমরাও বসে রয়েছি।'
আরও পড়ুনঃ বর্ষায় বৃষ্টি নেই, ছাতা-বর্ষাতিরও বিক্রি নেই! চিন্তায় ব্যবসায়ীরা
কীভাবে পুজো কাটবে তা নিয়ে আশঙ্কায় থাকার পাশাপাশি চাষী এবং শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষরা মনে করছেন এই বছর আর তাদের পুজো হবে না। এই বছর তারা তাদের ছেলেমেয়েদের কীভাবে জামা কাপড় কিনে দেবেন তা নিয়েও বাড়ছে দুশ্চিন্তা।
Madhab Das