সৈয়দ সালাউদ্দিন যে কলেজে পড়াশোনা করতেন সেই কলেজের হোস্টেলেই থাকতেন। শনিবার ও রবিবার কলেজ ছুটি থাকার কারণে তিনি বাড়ি ফিরে আসতেন এবং পরে ফের কলেজ যেতেন। এরই মধ্যে গতকাল অর্থাৎ শনিবার বাড়ি না ফিরলে তার মা তাকে ফোন করেন। সেই সময় সালাউদ্দিন জানান, রবিবার বাড়ি আসবেন।
আরও পড়ুন Cooch Behar News: নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে, গ্রেফতার অভিযুক্ত
advertisement
এরই মধ্যে শনিবার রাত্রি ১২:৩৫ মিনিটে সালাউদ্দিনের মোবাইল থেকেই তার বাড়িতে ফোন করা হয় মুক্তিপণ চেয়ে। ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। মুক্তিপণ হিসাবে টাকা জমা দেওয়ার জন্য রাত দুটো পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এরই মধ্যে সালাউদ্দিনের বাবা সৈয়দ আব্দুল মোতিন মল্লারপুর থানায় বিষয়টি জানান। তারপর পুলিশ তদন্তে নেমে টাওয়ার লোকেশন দেখে জানতে পারেন পুরো ঘটনাটি ঘটছে ইলামবাজারের চৌপাহারি জঙ্গলে। সেখানে পুলিশ হানা দিয়ে এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। ওই যুবকই সৈয়দ সালাউদ্দিন। তার গলা কেটে তাকে খুন করা হয়।
পুলিশ এই ঘটনায় তদন্তে নেমে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার সন্দেহে সৈয়দ সালাউদ্দিনের বন্ধু শেখ সলমনকে আটক করে। শেখ সলমনের বাড়ি আহমেদপুর। পুলিশি জিজ্ঞাসায় সলমন জানায়, তারা চৌপাহারি জঙ্গলে বসে মদ খাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনজন এসে সৈয়দ সালাউদ্দিনকে মেরে চলে যায়। আর সে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমেছে এবং মৃত সালাউদ্দিনের দেহ বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, "পুরো ঘটনাটি কি ঘটেছিল তা আমরা তদন্ত করছি। কীভাবে তারা এখানে এলেন এবং বাকি কি ঘটনা ঘটেছিল সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করার পরেই পুরো বিষয়টি আমরা বলতে পারব।"