এখনো পর্যন্ত এই এলাকার যে সকল মানুষ ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন তাদের অধিকাংশের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসার পর অধিকাংশ মানুষই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও প্রকোপ কমতে দেখা যাচ্ছে না। মঙ্গলবার নতুন করে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এতেই চিন্তা বাড়ছে স্থানীয় বাসিন্দা থেকে প্রশাসনের।
ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা কি খাচ্ছেন, কোন জল ব্যবহার করছেন এসব খতিয়ে দেখার পর স্থানীয় একটি পুকুর সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে কি কারণে এই এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
advertisement
এলাকা পরিদর্শনের পর মুরারইয়ে বিএমওএইচ ডাঃ আসিফ আহমেদ জানিয়েছেন, "এলাকায় এইভাবে ডায়রিয়ার প্রকোপ কি কারণে বাড়ছে তা দেখার জন্য আমাদের আসা। এটা রোটা ভাইরাস থেকে হতে পারে অথবা ফুড পয়সন থেকেও হতে পারে।" এর পাশাপাশি তিনি আরও একটি সম্ভাব্য কারণকে উল্লেখ করেছেন, তাহলে করোনা। তিনি জানিয়েছেন, "করোনা থেকেও হতে পারে। কারণ করোনার একটা সিমটম রয়েছে ডায়রিয়ার। যেহেতু একসঙ্গে এত জন আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়াও আমরা এখানে একসঙ্গে বহু করোনা আক্রান্ত রোগী খুঁজে পেয়েছিলাম।"
এর পাশাপাশি এদিন রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ শোভন দে এলাকা পরিদর্শন করে জানান, "জল বাহিত কোন জীবাণু থেকে এই রোগ হতে পারে। রোগের সন্ধান করার জন্য পায়খানা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে। পুকুরের জল ব্যবহার সমস্ত রকম ভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।"