পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের বীরভূম শাখার সদস্যরা পুরোপুরিভাবে এই ন্যাড়া পোড়ানো বন্ধ করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা ইতিমধ্যেই তাদের এই কর্মসূচি অনুযায়ী বীরভূমের মাজিগ্রাম বিজ্ঞান সভার সদস্যরা কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে এই ন্যাড়া পোড়ানোর কারণ অনুসন্ধান করার কাজ শুরু করেছেন এবং ন্যাড়া পোড়ানো (crop burning) হলে কি কি ক্ষতি হতে পারে তা নিয়ে অভিনব প্রচার শুরু করেছেন।
advertisement
ঢেঁড়া পিটিয়ে তারা তাদের এই অভিনব প্রচার কৃষকদের সামনে তুলে ধরেছেন, ন্যাড়া পোড়ানো হলে পরিবেশের ক্ষতির পাশাপাশি কিভাবে ধীরে ধীরে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায়। এর পাশাপাশি তারা তুলে ধরছেন, ন্যাড়া পোড়ানো (crop burning) হলে মাটির মধ্যে থাকা বন্ধু পোকামাকড় মারা যায়। এসবের ফলে আখেরে ক্ষতি কৃষকদেরই।
ঢেঁড়া পিটিয়ে এইভাবে ন্যাড়া পোড়ানো (crop burning) রোধ করার যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে সেই কর্মসূচিতে যথেষ্ট সাড়া মিলেছে বলে দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের বীরভূম শাখার মাজিগ্রাম বিজ্ঞান সভার সম্পাদক উত্তম দাস। তিনি জানিয়েছেন, "মানুষকে ঢেঁড়া পিটিয়ে কোনো বক্তব্য রাখলে মানুষ সেটি প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। স্বভাবতই আমাদের কথাগুলি মানুষের কানে পৌঁছে দিতে সুবিধা হয়েছে। তাই আমাদের এই ভাবে প্রচার কৌশল। আমরা গোটা গ্রাম ঘুরেছি"।
অন্যদিকে জেলা বিজ্ঞান মঞ্চের জনবিজ্ঞান কর্মী শুভাশিস গড়াই জানিয়েছেন, "এখন ধান চাষের পর ন্যাড়া যাতে না পড়ানো হয় তার জন্য ধারাবাহিকভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। আশা করি অনেকটা এতে সমস্যার সুরাহা হবে।"