তবে ঠিক মেলার আয়োজনের মাস দেড়েক আগে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট বোলপুর পৌরসভাকে চিঠি লিখে জানায়, পরিকাঠামো গত অসুবিধা, বিশেষ করে পূর্বপল্লীর মাঠ সংলগ্ন যে চারটি বাঁধ রয়েছে সেগুলি কচুরিপানা এবং আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার ফলে তারা মেলা করতে অপারগ।
শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এমন চিঠি দেওয়ার পরেই এই বছরও পূর্বপল্লীর মাঠে মেলা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে এর পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর পৌরসভা নিজেদের কাউন্সিলর এবং বীরভূম জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা মেলা করতে আগ্রহী। এই মেলার সঙ্গে বহু মানুষের রোজগার এবং আবেগ জড়িয়ে থাকার কারণেই তারা যেভাবেই হোক এই মেলা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : আবাসন প্রকল্পের ১০ কোটি টাকা এল বর্ধমান পুরসভায়, শীঘ্রই ঢুকবে উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে
আরও পড়ুন : শিশুদের আঁকড়ে প্রাণভয়ে ছুটছেন মায়েরা, চরম আতঙ্ক বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের শিশু বিভাগে
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বোলপুর পৌরসভার তরফে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কাছে সম্মতি চেয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। যে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যেভাবে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টকে পৌষমেলা করার জন্য পূর্বপল্লীর মাঠ দেওয়া হয় সেই ভাবেই যেন তাদেরও এই মাঠ দেয় বিশ্বভারতী। তাহলেই তারা সবার সাহায্য নিয়ে মেলার আয়োজন করতে সক্ষম হবে।
যদিও সেই চিঠির উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছেন বোলপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, উত্তর পেতে হয়তো সময় লাগবে। তবে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এখনো জানায়নি যে তারা মেলার আয়োজন করবে না। মেলার আয়োজন এবং পূর্বপল্লীর মাঠ যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি সম্মতি না পাওয়া যায় তাহলে গত বছরের মত বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে বিকল্প পৌষ মেলার আয়োজন করা হবে।
Madhab Das