জানা যায় জীবিত কুন্ডু ঘাট থেকেই মা তারার আবির্ভাব হয়।বনিক জয়দত্ত দ্বারকা নদীর ওপর দিয়ে বজরা করে বাণিজ্য করতে যাওয়ার সময় সেকালের চন্ডিপুর যেটা বর্তমানে তারাপীঠ নামে পরিচিত, সেই সময় বজরা নোঙর করছিলেন।সেই সময় সাপ এর কামড়ে মৃত্যু হয় জয়দত্তের ছেলের। সেই দিনই বণিকের একজন রান্না করার জন্য একটি কাটা শোল মাছ জলে ধুতে এসেছিলেন। সেই সময় শোল মাছটি জীবিত হয়ে জলের গভীরে চলে যায়। বনিক এই ঘটনা শোনার পরই তার ছেলেকে এই জলের মধ্যে স্নান করাতেই তার ছেলে সেই জলে জীবিত হয়ে যায়।সেই থেকেই এই পুকুর জীবিত কুন্ডু নামে পরিচিত।
advertisement
তারাপীঠ থেকে কিছু দূরে রয়েছে আটলা গ্রামে সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্ম স্থান। এতদিন দর্শনার্থীরা বামাক্ষ্যাপা দর্শনের জন্য আটলা গ্রামে যেতেন।তবে এবার আটলা গ্রামের পাশাপাশি তারাপীঠের মন্দিরের মধ্যে দর্শন মিলবে বামদেবের।
আরও পড়ুন: South 24 Parganas News: ভাত, মাছ, তরকারি, চাটনি! বারুইপুরের এই মন্দিরের প্রসাদে রয়েছে চমকে ভরা
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান এই ঘাটের সঙ্গে একটি ঐতিহ্য জড়িয়ে রয়েছে। এই ঘাটে মন্দির স্থাপন করা হয়েছে এইটি ভক্তদের কাছে একটি অন্যতম আকর্ষণ। এই ঘাটের জল নিয়ে মায়ের স্নান থেকে শুরু করে ভোগ। এবং একটি সময় সাধক বামাক্ষ্যাপা এই ঘাটের জল নিয়ে মায়ের পুজো করতেন। এক কথায় এই ঘাট হওয়াতে তারাপীঠ মন্দিরের ঐতিহ্য অনেকটাই বেড়ে গেল বলে মনে করছেন সকলে।
সৌভিক রায়