পড়ুয়াদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় এই বিশ্ববিদ্যালয় সামান্য কোনও ঘটনা ঘটলেই সেই ঘটনা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে পড়ুয়াদের ভর্তি নেয় না, পিএইচডি আটকে রাখে, রেজাল্ট প্রকাশ করে না ইত্যাদি নানা পদক্ষেপ বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় পঠনপাঠনের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। পড়ুয়াদের দাবি, এই সমস্ত ঘটনার জন্য দায়ী হলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তাই তাঁরা যতক্ষণ না বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্যর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন ততক্ষণ তাঁদের আন্দোলন চলবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ঘরের ছেলে ডাক পেল ইসরোতে, গর্বিত কৃষ্ণনগর
আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ১০ ঘন্টা ধরে কেন্দ্রীয় ভবনে উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা। মধ্যরাতে নিরাপত্তারক্ষীরা গেট ভেঙে উপাচার্যকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পর পড়ুয়ারা সিদ্ধান্ত নেন তাঁর বাসভবনের সামনে মঞ্চ করে অবস্থান বিক্ষোভ চালাবেন। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয় এবং তারপরই রীতিমত লেপ কাঁথা নিয়ে উপাচার্যের বাসভবন পূর্বিতার সামনে অবস্থানে বসে পড়েছেন পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: গুজরাতে বিজেপির প্রচারে বিদেশিরা! 'প্রমাণ' দিয়ে কমিশনে অভিযোগ তৃণমূলের
পড়ুয়াদের এই অবস্থান-বিক্ষোভে আরও একটি উল্লেখযোগ্য দাবি তোলা হয়েছে তা হল পৌষ মেলা। তাঁদের তরফ থেকে অবিলম্বে পৌষ মেলা করা নিয়ে যাতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। পড়ুয়াদের তরফ থেকে সোমনাথ সৌ জানিয়েছেন, 'বিশ্বভারতীতে যা যা ঘটনা ঘটে চলেছে সমস্ত ঘটনার জন্য দায়ী হলেন একমাত্র উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যে কারণে আমরা তার পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছি এবং তিনি যতক্ষণ না পদত্যাগ করছেন ততক্ষণ এই বিক্ষোভ আন্দোলন চলবে।'
মাধব দাস