সদ্য অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়ায় দুই মার্কিন নোবেলজয়ীকে ‘স্বার্থপর’ আখ্যা দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল সর্বত্র। এবার অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ানোয় ঠিক পরীক্ষার আগে সাসপেণ্ড হতে হল ছাত্রকে৷
advertisement
বিশ্বভারতীর পল্লী শিক্ষা ভবনের স্নাতকোত্তরের ছাত্র সোমনাথ সৌ। অধ্যাপক অমর্ত্য সেন বিশ্বভারতীর কোন জমি দখলে রাখেননি। ইজারা নিয়েছেন। এই সংক্রান্ত সরকারি একটি নথি স্যোসাল নেটওয়ার্ক সাইট ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন সোমনাথ৷ অভিযোগ, তাই তাকে সম্পূর্ণ একটি সেমিস্টারের জন্য সাসপেণ্ড করা হয়। প্রসঙ্গত, এই ছাত্রকে আগেও উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন করার জন্য বহিষ্কার করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুনরায় ভর্তি নিতে হয়েছিল।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের জমি বিবাদ চলছে দীর্ঘদিন। অধ্যাপক সেনকে একাধিকবার ‘জমি দখলকারী’ বলে উল্লেখ করে বিতর্কেও জড়িয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ-সহ উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এমনকি, জমি খালি করে দেওয়ার জন্য ‘প্রতীচী’ বাড়ির গেটে নোটিশও আটকে দেয় বিশ্বভারতী। যা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন অধ্যাপক সেন।
বিশ্বভারতীর এই আচরণের বিরুদ্ধে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের বিদ্বজ্জনেরা।ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, “অমর্ত্য সেনের হয়ে পোস্ট করেছিলাম৷ পাঁচ মাস ধরে তদন্ত কমিটি বসিয়েছিল৷ ঠিক পরীক্ষার আগে আমাকে সাসপেণ্ড করল৷ যাতে আমি এই সেমিস্টারের পরীক্ষা দিতে না পারি৷ এর আগেও এমন করেছে। ফের আইননি পদক্ষেপ নিতে হবে।”
শুভদীপ পাল