গৌতম দাস ২০০৩ সালের জুলাই মাসে প্রথম নিজের স্বপ্ন পূরণ করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে সুযোগ পেয়ে। এরপর এক বছর ধরে চলে তার এক বছর ধরে গোয়াতে চলে তার ট্রেনিং। ২০০৪ সালে পাকাপাকিভাবে সিপাহী হন গৌতম দাস। এরপর তার প্রথম পোস্টিং হয় জম্মু-কাশ্মীরে। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিন বছর জম্মু-কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় যেগুলি আতঙ্কবাদী অধ্যুষিত সেখানে ডিউটি করেন। এরপর তিনি পোস্টিং পান অরুণাচল প্রদেশে এবং পরে আবার দ্বিতীয়বারের জন্য জম্মু-কাশ্মীরে পোস্টিং পান। যে জম্মু-কাশ্মীরে অনেকেই পোস্টিং নিতে চান না সেই জায়গায় দুবার পোস্টিং নিয়ে নজির তৈরি করেছেন এই অবসরপ্রাপ্ত সেনা।
advertisement
আরও পড়ুন - পরিষ্কার পরিচ্ছনতায় এগিয়ে বাংলার এই স্কুল! পেল পাঁচ তারা স্বীকৃতি
এরপর তিনি লখনৌতে ডিউটি করাকালীন ইউএন পরীক্ষা দেন এবং সেখান থেকে নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আবার নাগাল্যান্ডের ডিউটি করেন এবং সেখান থেকেই তার বিদেশে পোস্টিং হয়। এরপর তিনি ধাপে ধাপে সাউথ সুদান, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, উগান্ডা দেশে তিনি ভারতীয় সেনার তরফ থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন - Surya Gochar: সূর্যের গোচরে ১৫ দিনে ভোলবদল, তিন রাশির জাতক-জাতিকার কপাল খুলবে
নিষ্ঠার সঙ্গে ১৯ বছর ধরে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যুক্ত থেকে দেশ সেবার কাজ করার পর বৃহস্পতিবার তিনি অবসর গ্রহণ করে দুবরাজপুরে ফেরেন। দুবরাজপুরের ফেরার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাকে রাজকীয়ভাবে বরণ করে নেওয়ার জন্য সমস্ত রকম আয়োজন করে রেখেছিলেন স্থানীয় ক্লাব এবং বাসিন্দারা। তাকে এদিন প্রথম থেকেই বরণ করে নেওয়ার জন্য দুবরাজপুর শহর ঢোকার আগে যে শ্মশান কালী মন্দির রয়েছে সেখান থেকেই ভারতের জাতীয় পতাকা, জয় হিন্দ ধ্বনিতে শোভাযাত্রার মাধ্যমে শহরে আনা হয়। এই শোভাযাত্রা এবং তার সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে কচিকাঁচা থেকে বয়স্করা প্রত্যেকেই ভিড় জমিয়েছিলেন। এমন একজন সেনা কে পেয়ে গর্ববোধ করছেন দুবরাজপুর তথা বীরভূমের বাসিন্দারা।
Madhab Das