যেমন, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, গুপ্তিপাড়ার কাঁচাগোল্লা বা কৃষ্ণনগরের সরভাজা, তেমনই কখন যেন সিউড়ির সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে মোরব্বার নাম। স্বাধীনতার বহু আগে নবাবের আমলে জনপ্রিয় হওয়া এই মোরব্বার ব্যবসা নতুন করে শুরু করেছিলেন সজনীকান্ত দে। মালিপাড়ায় জোনাকি ক্লাবের কাছে ছিল সেই কুঞ্জবিহারী মিষ্টান্ন ভান্ডার। তাঁর ছেলে দিগম্বরপ্রসাদ দে ১৯৫০ সালের পরের দিকে টিনবাজারে তৈরি করেন মোরব্বা মিষ্টান্ন মন্দির। ১৯৭৪ সালে তাঁদেরই বংশধর নন্দদুলাল দে সিউড়ি বাস স্ট্যান্ডে দোকান করে নাম রাখেন মোরব্বা।
advertisement
আরও পড়ুন: হারিয়ে যাচ্ছে হাতে বোনা শীতলপাটি! বাজার দখল করছে প্লাস্টিক মাদুর! বিপদে শিল্পীরা
রাজনগরের নবাবের প্রিয় মিষ্টির ঐতিহ্য বহন করেই চলছে এই দোকান। দাবি নন্দদুলালবাবুর ছেলে গৌরাঙ্গর। বাপ ঠাকুদার তৈরি করা মোরব্বার ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে অতিমাত্রায় আগ্রহী তিনি। তাই উচ্চশিক্ষিত হয়েও চাকরির মায়া ছেড়ে মন দিয়েছেন ব্যবসাতেই। এক সময় শুধুই চাল কুমড়ো। তারপর বেল আর শতমূল দিয়ে তৈরি হত মোরব্বা। সময়ের সঙ্গে সেই তালিকায় যোগ হয়েছে নাসপাতি, আম, গাজর,পটল, বরবটি এমনকী লাল লঙ্কা, আমলকি, হরতুকিও। চিনির কড়া রসে ডুবিয়ে তৈরি বলেই বেশ কিছু দিন রেখে খাওয়া যায়।
Subhadip Pal