১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়৷ বিস্ফোরণের বিকট শব্দে ঘুম ভাঙে প্রশাসনের৷ শুরু হয় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানাগুলিতে তল্লাশি। তারপরই বীরভূম জেলা জুড়ে অভিযান চালায় পুলিশ৷ ১৮ মে লাভপুর থানার পূর্ণা গ্রামে সিআইডি ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করে প্রায় ১০০ কেজি বারুদ সহ বিপুল পরিমাণে বেআইনি বাজি ও সরঞ্জাম। ২২ মে দুবরাজপুর থানার পদুমা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘোড়া পাড়া গ্রামে তৃণমূল কর্মী শেখ সফিকের বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়৷ শতাধিক তাজা বোমা মজুত ছিল সেখানে৷ পরে তদন্তে নামে সিআইডি। ২৪ মে সিউড়ির মসজিদ পাড়ায় একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৫০ কেজির বেশি বাজি।
advertisement
আরও পড়ুন-জমজমাট বালুরঘাট! কী হচ্ছে ওখানে, ভিড় জমাচ্ছে কাতারে কাতারে মানুষ
আরও পড়ুন-অভিষেক বাঁকুড়া ছাড়তেই তৃণমূলে বড় ঘটনা, তড়িঘড়ি বদলে গেল অনেককিছু!
অন্যদিকে কয়েকদিন আগে রামপুরহাটের নারায়ণপুর গ্রামে পুকুর পাড়ের ঝোঁপ থেকে ড্রাম ভর্তি প্রায় ৩৫ টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়৷ নলহাটির মধুপুর থেকে প্রায় ৩২০০ টি জিলেটিন স্টিক ও ২ বস্তা ভর্তি ডিটনেটর উদ্ধার হয়৷ লস্করপুর গ্রাম থেকে ১২ টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ৷ নানুরের বাইতারা গ্রাম থেকে উদ্ধার হয় ৩০ টি তাজা বোমা। বোলপুরের যজ্ঞনগর গ্রামে ঝোঁপে ড্রাম ভর্তি ১৫ টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ৷ পরে গ্রামের আশেপাশে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে বোমা উদ্ধারের জন্য তল্লাশি চালানো হয়৷ লাভপুরের দরবারপুরে অঙ্গণওয়ারি কেন্দ্রের পাশ থেকে এর ড্রাম ভর্তি ১০ টি বোমা উদ্ধার করা হয়৷ পাঁড়ুই থানার অবিনাসপুরে শেখ আতাউল্লাহ ওরফে ফুলবাবুর কাছ থেকে ১ টি ৭ এমএম পিস্তল সহ একটি ম্যাগাজিন ও ৪ রাউণ্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ রামপুরহাটের কামাখ্যা মাঠে উদ্ধার প্রায় ৫০ টি তাজা বোমা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই জেলায় আরও বোমা, বিস্ফোরক, আগ্নেয়াস্ত্র মজুত রয়েছে। ১৫ দিনে জেলার একাধিক জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র। এই নিয়ে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “জেলা জুড়ে পুলিশ তৎপর। তল্লাশি অভিযান চলবে।”
Subhadip Pal