সাত মাস আগে এমন চুরির ঘটনাটি ঘটেছিল দুবরাজপুরের মঙ্গলপুরের বিশ্বনাথ বিশ্বাসের বাড়িতে। বিশ্বনাথ বিশ্বাস এসআই একজন হোম গার্ড। ঘটনার দিন বাড়িতে কেউ ছিলেন না এবং সেই সুযোগে বাড়ির দরজার তালা ভেঙে এই সকল জিনিসপত্র চুরি হয়। থানায় অভিযোগ জানানোর পর থেকেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে, তবে কোনও ভাবেই চোরদের ট্র্যাক করতে পারা যাচ্ছিল না। তবে সেই চোরেদের ট্র্যাক করা সম্ভব হয় ওই হোম গার্ডের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া মোবাইলের সূত্র ধরেই।
advertisement
আরও পড়ুন: জানা গেল সেই 'গার্লফ্রেন্ডের' পরিচয়, শ্রদ্ধাকে ৩৫ টুকরো করার পর তাঁকেই ফ্ল্যাটে ডাকত আফতাব!
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে মোবাইলটি চুরি গিয়েছিল সেই মোবাইলটি হঠাৎ দিন কয়েক আগে অন করা হয়। তারপরেই পুলিশ ওই মোবাইলের সূত্র ধরে নতুন করে এই চুরির ঘটনায় ট্র্যাক করা শুরু করে। তারপর শেখ রকিবুল এবং রাহুল কাজী নামে দুজনকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। ধৃতদের শনিবার দুবরাজপুর আদালতে পুলিশ তোলে এবং তাদের পুলিশি হেফাজত চাওয়া হয়। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন: বাবার সঙ্গে আর তেমন কথাই হয় না? দূরত্ব বেড়েছে অনেকটাই? এই টিপসেই রয়েছে সমাধান
অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার পর পুলিশের তরফ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয় এবং সেই জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন ওই দুজন স্বীকার করেন তারা এই চুরির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তাদের স্বীকারোক্তির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ চুরি যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যে সকল জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছে সেগুলি হল একজোড়া সোনা দিয়ে বাঁধানো পলা, তিন জোড়া সোনার কানের, তিনটে সোনার আংটি, দুটি সোনার নৌকা ও তিনটে রুপোর হার সহ ১০ হাজার টাকা এবং মোবাইল।
মাধব দাস