ধসা রোগ থেকে বাঁচতে ছত্রাক নাশক ওষুধ স্প্রে করে কিছুটা রক্ষা করতে পেরেছিল চাষিরা। জেলা কৃষি দফতরের হিসাবে জেলায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপন করা হয়েছিল। সাঁইথিয়া হরিসরার মিহির মণ্ডল, রবি হাঁসদা, সুকুমার দত্তরা বলেন, আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি যে এবার আলুর অর্ধেক ফলন হল। তার সঙ্গে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে আচমকা মেঘ, সঙ্গে চড়া রোদ। তাঁদের দাবি, এ বছর আলু চাষে বিঘা প্রতি ২০-২৫ হাজার টাকা করে খরচহয়েছে। ভবানীপুর, মোনাই, ললিয়াপুর, কেশবপুর, নারাণঘাঁটি-সহ ময়ূরেশ্বরের বিস্তৃর্ণ এলাকার আলু চাষিরা চিন্তায় পড়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন : ফেলে দেওয়া এই জিনিস দিয়ে তৈরি হচ্ছে ঘর সাজানোর এই উপকরণ
চাষিরা জানান, যেখানে অনান্য বছর প্রতি বিঘায় কমপক্ষে চার কুইন্টাল আলুর ফলন হয়, সেখানে এবার দু’কুইন্টালও হচ্ছে না। কাঁচা অবস্থায় আলু তুলে তা হিমঘরে রাখা যাচ্ছে না। রাখলে তা পচে যাবে।এদিকে কৃষক গৌতম গড়াই,তরুণ মণ্ডলরা জানান, আলু কম হওয়ায় তা মাঠ থেকে চুরি হচ্ছে। উল্লেখ্য, বীরভূম জেলা জুড়ে ১৭টি হিমঘরে মার্চের মাঝামাঝি সময়ে চাষিদের আলুতে ভরে যায়। কিন্তু সেখানেও পর্যাপ্ত পরিমাণ আলু আসছে না।
হিমঘর মালিকরা জানান, হিমঘর ভরতে তাঁদের উত্তরবঙ্গ থেকে আলু নিয়ে আসতে হবে। বাজারে আলুর দর চড়ছে। আবার সরাসরি মাঠ থেকে আলু তুলে হিমঘরে রাখা যাচ্ছে না। এদিকে বৃষ্টির পূর্বাভাষ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আলুতে জল পেলে তা পচে যাবে।তাই মাঠের মধ্যেই ত্রিপল দিয়ে প্যান্ডেল খাটিয়ে আলু রক্ষার শেষ চেষ্টা চলছে।
সৌভিক রায়






