বোলপুর থানার সিয়ান-মুলুক পঞ্চায়েতের আদিবাসী প্রধান গ্রাম মণিকুণ্ডুপাড়া। ২০২০ সালে ওই গ্রামে কুকুরের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। ওই সারমেয়র আক্রমণে গ্রামের আরও বেশ কয়েকজন আহত হন৷ এরপরই গ্রামের ৩ টি পরিবারের দিকে আঙুল তুলতে শুরু করে বাকিরা। আদিবাসী গ্রামের প্রথা মেনে বসে সালিশি সভা৷ সেখানে সন্দেহের তালিকায় থাকা তিনটি পরিবারের সদস্যদের ডাইনি আখ্যা দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত হয় ওই ৩ টি পরিবারকে গ্রামছাড়া করা হবে। অভিযোগ, ওই তিনটি পরিবারের ১২ জন সদস্যকে মারধর করে গায়ের জোরে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর ওই পরিবারগুলির গবাদি পশু, বাড়িতে থাকা জিনিসপত্র গ্রামের কিছু লোকজন লুট করে নেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুতে ক্লোজ তদন্তকারী অফিসার
এই ঘটনায় পরিবার তিনটির ভাগ্যাকাশে ভয়ঙ্কর দুর্বিপাক নেমে আসে। প্রথমে কিছুদিন আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়ে থাকলেও বর্তমানে তাঁদের কখনও বাসস্ট্যান্ড, আবার কখনও ফুটপাতে শুয়ে দিন কাটছে৷ তাঁদের অভিযোগ, বাড়ি ফিরতে চেয়ে বার বার প্রশাসনের সহযোগিতা চাইলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। এরই প্রতিবাদে সোমবার মহকুমাশাসকের অফিসের সামনে ধর্নায় বসেন তিনটি পরিবারের ১২ জন সদস্য।
এই বিষয়টির সমাধানের লক্ষ্যে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, রাজ্যের ক্ষুদ্র-মাঝারি ও কুটির শিল্পমন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা ও বোলপুরে মহকুমাশাসক অয়ন নাথ বৈঠক করেন। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক বলেন, এই ঘটনা খুবই অনভিপ্রেত। আমরা আলোচনা করেছি৷ আলোচনায় মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাও ছিলেন৷ আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আপাতত ওনাদের একটি সরকারি ভবনে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তারপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বুঝিয়ে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে৷ তিনি দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।