মহম্মদ বাজার ডেউচা পাঁচামি এলাকায় প্রায় ২১০ কোটি ২০ লাখ টন কয়লা মজুত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। সেই কয়লা উত্তোলনের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বড় মাপের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। এই এলাকায় কয়লা উত্তোলনের কাজ ধাপে ধাপে করা হবে। স্থানীয় যারা জমি দেবেন তাদের বিঘা প্রতি ১৩ লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসন সংক্রান্ত যাবতীয় প্যাকেজ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে একবার এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক হলো বীরভূম জেলা প্রশাসনের।
advertisement
মঙ্গলবার বীরভূম জেলা শাসক দপ্তরের কনফারেন্স হলে এলাকার আদিবাসীদের নিয়ে এই বৈঠক সাড়া হয় এবং সেই বৈঠকে পাট্টা বিলি সহ জমি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ কয়েক ধাপ এগিয়ে ফেলা হয় জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। এদিনের এই বৈঠক শেষে বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় জানান, এলাকার প্রায় ১৫০ আদিবাসী মানুষজন শিল্পের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে এই বৈঠকে উপস্থিত হয়েছেন। দেওয়ানগঞ্জ হরিণ সিঙ্গা প্রথম যে কয়লা ব্লক চিহ্নিত করা হয়েছে সেখান থেকেই তারা এসেছেন।
আরও পড়ুন - রাতের অন্ধকারে চলল বুলডোজার ! বোলপুরে ভয়াবহ কাণ্ড
আরও পড়ুন - বাড়িতে ব্যবহার করা হয় এমন জিনিস দিয়েই করা যাবে বন্যা মোকাবিলা! শেখালো এনডিআরএফ
প্রশাসনিক সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই এলাকার প্রায় ১১৪ জনকে আগেই সরকারের নির্দেশিকা অনুসারে পাট্টা দেয় প্রশাসন। এরপর মঙ্গলবার নতুন করে ৫০-৬০ জনকে পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। এছাড়াও যারা এদিন উপস্থিত হয়েছিলেন তারা তাদের মধ্যে অনেকেই জমি রেজিস্ট্রেশন করাতে এসেছিলেন অথবা অন্যান্য যেসকল সমস্যা রয়েছে সেগুলির সমাধান করতে এসেছিলেন।
বীরভূম জেলা শাসক দ্রুত শিল্প হওয়ার বিষয়ে খুব আশাবাদী। এমনকি তিনি জানিয়েছেন, যারা মহাসভা নামে শিল্পীর বিরোধিতায় মঞ্চ তৈরি করেছে এবং সেখানে হাজির হয়েছিল তাদের অনেকেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে আজ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামী দিনে বাকিরাও নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে প্রশাসনের সহযোগিতা করবে এই শিল্প গড়ে তোলার জন্য।