মর্মান্তিক এই গণহত্যার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু হয় এবং ধাপে ধাপে অভিযুক্তরা সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েন। এরই মধ্যে সোমবার সিবিআই হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয় মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। লালন শেখের মৃত্যুর পর থেকেই ফের খবরের শিরোনামে বগটুই। লালনের এ ভাবে মৃত্যুর পর যাতে গ্রামে নতুন করে কোনও অশান্তি না ছড়ায়, তার জন্য কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা গ্রাম। পাশাপাশি কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বড়দিনের ছুটিতে মাত্র ৪৫ টাকাতে দিঘা! গল্প নয়, এটাই সত্যি! জানুন খুঁটিনাটি
এ দিকে বগটুই গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় যেখানে লালন শেখকে কবরস্থ করা হয়েছে সেই জায়গাও কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। কারণ সিবিআইয়ের তরফ থেকে পুনরায় লালনের দেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছে। হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে আগামী বুধবার। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত পুলিশ লালনের দেহ নজরে রাখতে চাইছে। পুলিশ দিয়ে গ্রাম নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলার পাশাপাশি সিসিটিভি ক্যামেরায় নজরদারি চালানোর জন্য গ্রামেই খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম।
তবে দ্বিতীয়বার লালনের দেহ ময়নাতদন্তের বিষয়ে বিরোধিতা করেছেন লালনের স্ত্রী রেশমা বিবি। তিনি জানিয়েছেন, "আমার স্বামীর দেহের ওপরে আর কোনও অত্যাচার চাই না। যা অত্যাচার করেছে সেটাই অনেক। আমার স্বামীকে অন্যায়ভাবে যারা মেরেছে, তার সঠিক বিচার চাই।"
Madhab Das