তিনি নিজে এবং অন্যান্যদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করে তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। পাশাপাশি সোমা জানিয়েছেন, উনি না থাকলে কোন ভাবেই পরীক্ষাতে পাস করতে পারতেন না তিনি। ২০১৯ সালের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন সোমাকে ছয়টি কেমো নিতে হয়। ১০ ঘণ্টা করে চলত তার কেমো। সাড়ে সাত মাস এইভাবে চিকিৎসা করানোর পর ফিরে এলেন আট মাস পর ফের তার শরীরের নানান লক্ষণ দেখা দেয়। এই লক্ষণ হলো দ্বিতীয়বারের জন্য ক্যান্সার বাসা বাঁধা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অসহ্য যন্ত্রণা! তবুও থামেনি সোমা দাসের লড়াই! কোন ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি?
এর পর ফের ২০২০ সালের মার্চ মাসে মুম্বাই রওনা দেন সোমা। ফের তাকে ছয়টি কেমো দেওয়া হয়। এরপর ছয় মাস পর আবার বীরভূমে ফিরে আসেন সোমা। ফিরে এসেই আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনে সঙ্গে যোগ দেন। এরপর কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি তাকে চাকরিতে নিয়োগ করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মতো শনিবার সোমা নলহাটির মধুরা উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ হলেন।
আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিকে পাশ করতে পারেনি, লজ্জায় আত্মঘাতী বীরভূমের ছাত্রী
বারবার সোমার শরীরে এইভাবে ক্যান্সার ফিরে আসার কারণে চিকিৎসকেরা তিন মাসের মধ্যে স্টেম ফেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট করানোর জন্য বলেছিলেন। তবে সময় জানিয়েছেন, তা আর করা হয়নি। যে কারণে চাকরিতে নিয়োগ হলেও ফের এই রোগ তার শরীরে ফিরে আসবে কিনা তা নিয়েও তিনি অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। মোটের উপর সোমা দাস দু-দুবার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে জয়লাভ করার পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে আজ এই জায়গায় এসে পৌঁছালেন।
Madhab Das