প্রশ্ন উঠছে এত টাকা মূল্যের সোনার গয়না কোথায় থেকে এল? এ বার তারই তদন্ত করতে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে চাইছেন, এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না কোথায় থেকে কীভাবে এল? যে স্বর্ণ ব্যবসায়ী এই সকল সোনার গয়না তৈরি এবং কেনা অথবা বিক্রির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তা ইতিমধ্যেই সিবিআই আধিকারিকরা ডেকে জেরা করেছেন। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে মোট ৬ জন ব্যাঙ্ক আধিকারিক ছাড়াও এই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠানো হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। বেশকিছুক্ষণ ধরেই তাদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ 'দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ', বীরের সম্মান পেয়ে চওড়া হাসি অনুব্রতর মুখে
বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের নতুন করে ১৪ দিনের জেল হেফাজত হওয়ার পর বুধবার রাতেই সিবিআই আধিকারিকদের ফের বোলপুরে আসতে দেখা যায়। বোলপুরে তাদের আসার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে কোথায় তারা হানা দেন তার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সবাই। যদিও সকাল থেকে সিবিআই আধিকারিকদের রতনকুঠিতে থেকেই ব্যাংক আধিকারিকদের একে একে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরেই ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তারপর সিবিআই আধিকারিকরা বোলপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় হানা দেন।
আরও পড়ুনঃ তাকিয়ে লক্ষ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আজই বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে পর্ষদ
অনুব্রত মণ্ডলের কালী প্রতিমার এই বিপুল পরিমাণ অলংকার নিয়ে অনেকের মধ্যেই রয়েছে কৌতূহল। প্রতিবছর বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল এই কালীপুজো করে থাকেন। নিজের হাতে প্রতিবছর পূজোর আগে প্রতিমার গায়ে অলংকার পরান। আবার ফলাও করে সেই অলংকার সাংবাদিকদের সামনে প্রদর্শন করতেও দেখা যায় তাকে। গয়নার তালিকায় রয়েছে নাকছাবি, নথ, নানা ডিজাইনের নেকলেস, হার, বালা, কঙ্কন, মান্তাসা, দুল, আংটি, মুকুট, শিবের নিরেট সোনা দিয়ে তৈরি কল্কে ইত্যাদি। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন এই বিপুল পরিমাণ সোনার গয়নায় এ বার অনুব্রত মণ্ডলের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
Madhab Das