রাজ্যে পালা বদলের পর এই প্রথম অনুব্রতহীন বীরভূম জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে৷ ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে পুলিশকে বোমা মারতে বলে ও নির্দল প্রার্থীদের বাড়ি ভেঙে দিতে বলে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রতর দাওয়াই ছিল ‘চড়াম চড়াম’ ও ‘গুড়-বাতাসা’। অনুব্রতর দাপটে মনোনয়ন পত্রই জমা দিতে পারেনি বিরোধীরা৷ সম্পূর্ণ বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় বীরভূম জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল-কংগ্রেস। সেই সময় কবি শঙ্খ ঘোষ লিখেছিলেন, “যথার্থ এই বীরভূমি-উত্তাল ঢেউ পেরিয়ে এসে পেয়েছি শেষ তীরভূমি। দেখ খুলে তোর তিন নয়ন রাস্তা জুড়ে খড়্গ হাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।”
advertisement
আরও পড়ুন:
গরু পাচার মামলায় তিহাড় জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল৷ এই প্রথম অনুব্রতকে ছাড়াই কোন নির্বাচন হচ্ছে৷ এই প্রথম কোন নির্বাচনের আগে খাঁ খাঁ করছে বোলপুরের নীচুপট্টীতে তাঁর বসত বাড়ি৷ দু’জন পুলিশ কনস্টেবল মোতায়েন রয়েছে৷ শূন্য অনুব্রতর চেয়ার৷ প্রতি নির্বাচনের আগে থেকে এই বাড়ি দলীয় নেতা-কর্মীদের ভিড়ে থিক থিক করত৷ যে কোন নির্বাচনের ব্লু প্রিন্ট তৈরি হত এই বাড়ি থেকে৷ সকলে অপেক্ষা করত এবার কি দাওয়াই দেন অনুব্রত। কিন্তু, রাত পোহালেই ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কার্যত শুনশান অনুব্রতর বাড়ি৷
Subhadip Pal