বাঁকুড়া থেকে অমরকানন যাওয়ার পথে একটা ছোট্ট সেতু পার করে এক কিলোমিটারের মত এলেই চোখে পড়বে এক মস্ত হোডিং। আর তাতে লেখা রয়েছে ‘মহিমানন্দ তপোবন আশ্রম’। ফলকের পাশের রাস্তাটি অনুসরণ করে চলে এলেই পৌঁছে যাবেন তপোবন শাখা উত্তম আশ্রমে।
আরও পড়ুন: পারদ সামান্য বাড়তেই ফিরে এল কুয়াশা, মেঘলা আবহাওয়ায় আচ্ছন্ন জেলা
advertisement
বাঁকুড়া জেলার গঙ্গাজলঘাটি থানার অন্তর্গত কাপিস্টা গ্রামে অবস্থিত এই তপোবন পাহাড় যার জনপ্রিয় নাম কোড়ো পাহাড়। যে পাহাড়ের গলায় স্বর্ণহারের মত অবস্থান করেছে এই উত্তম আশ্রম। গাছ গাছালিতে ভরা পাখির কলতনে মুখরিত এক অদ্ভুত জায়গা যেখানে গেলে হারিয়ে যেতে পারেন আপনি।
কথিত আছে কোন এক সময় সেবা শুশ্রূষার জন্য নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এসেছিলেন এই উত্তম আশ্রমে, যদিও এর কোন প্রমাণ মেলেনি। উত্তম আশ্রম পিছনে ফেলে পাহাড়ের উপর দিকে উঠে এলে দেখা মিলবে এক সারি সিঁড়ি। নিচের থেকে উপরে তাকালে মনে হয় যেন আকাশে গিয়ে মিশেছে এই সিঁড়িগুলি। বড় বড় গাছ দিয়ে ঘেরা এই সর্গের সোপান বেয়ে উপরে উঠলেই তপোবন পাহাড়ের স্বর্ণ মুকুটের শ্রেষ্ঠ মুক্তটি চোখে পড়বে। পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে অষ্টভূজা মা পার্বতীর মন্দির। গুটিকয়েক লোকজন। আপনার উইকেন্ডের পারফেক্ট প্লেস।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিদ্যুৎ বিল ছত্রিশ লাখ থেকে কমে এখন তেরো,জানুন কীভাবে সম্ভব
নেতাজি থেকে শুরু করে গোবিন্দ প্রসাদ, গান্ধীজির স্মৃতি বিজড়িত এই অঞ্চল। সবকিছুর মধ্যে যেন এই তপোবন পাহাড় লুকিয়ে রেখেছে নিজের শরীর। চোখের অগোচর করলেই হারিয়ে ফেলবেন এই উইকএন্ড ডেস্টিনেশন। মিষ্টি রোদে পাহাড়ে বসে আড্ডা দিতে দিতেই কাটিয়ে ফেলতে পারেন এক বেলা। মুখেই কথায় আর ক্যামেরাবন্দি ছবি দেখে এই অপরূপ জায়গার যথার্থতা বুঝতে পারবেন না। তাই আর দেরি না করে বেড়িয়ে পড়ুন তপোবন পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। বাঁকুড়া জেলায় এইরকম লুকোনো ডেস্টিনেশন রয়েছে অনেক। কোড়ো পাহাড় যাদের মধ্যে অন্যতম একটি দৃষ্টান্ত।
Nilanjan Banerjee