মন্দিরকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে বহু অলৌকিক গল্প। অতি প্রাচীন ভগ্নপ্রায় এই মন্দিরের সংস্কারের দাবি জানান গ্রামের বাসিন্দারা। সেই দাবি মেনেই বাঁকুড়া জেলার এই অত্যন্ত জাগ্রত বিষ্ণু এবং শৈবক্ষেত্রের সংস্কারে নামছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। বরাদ্দ করা হয়েছে ৬ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা।
মন্দিরে অধিষ্ঠিত বিষ্ণুদেব অত্যন্ত জাগ্রত। শোনা যায়, বংশবৃদ্ধিতে অক্ষম ব্যক্তি এই মন্দিরে এসে স্নানজল গ্রহণ করলেই দৈবশক্তিতে বংশবৃদ্ধিতে সক্ষম হয়ে ওঠেন তিনি। আবার কথিত আছে, যদি মন্দিরের ব্রাহ্মণ পরিবার ছাড়া অন্য কেউ অবজ্ঞা সহকারে যদি মন্দিরে অধিষ্ঠিত বিষ্ণু এবং শিবের পূজা করেন, তাহলে তাঁর পরিণতি ভয়ানক হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: দিঘায় বেড়াতে গিয়ে ভয়ানক ঘটনার সম্মুখীন পর্যটকরা! প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা নিয়ে, কী ঘটেছে
আরও পড়ুন: ট্রেন থেকে মোবাইল চুরি, পুকুরে ঝাঁপ দিল চোর! এর পর যা হল, তুমুল নাটক
মন্দিরের বাইরের টেরাকোটার টাইলসগুলির মধ্যে অনেকগুলি কালান্তরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। মন্দিরের বেদীতে তৈরি হয়েছে ফাটল। গ্রামের ব্রাহ্মণরাই দীর্ঘদিন ধরে বংশানুক্রমে পালা অনুসারে মন্দিরের পরিচর্যা এবং পূজা করে আসছেন।
বাঁকুড়া জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে দেখতে পাওয়া যায় এই ধরনের প্রাচীন মন্দির। এই মন্দিরগুলি সাজানো রয়েছে অপূর্ব টেরাকোটার সাজে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যার অবস্থা প্রায় ভগ্নপ্রায়। সেরকমই বাঁকুড়ার ছাতনার কামিনবাদ গ্রামের বিশেষ প্রাচীন এই মন্দির সংস্কার হতে চলেছে। বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ বাঁকুড়ার ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের অনুরাগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
Nilanjan Banerjee
(Disclaimer: এই প্রতিবেদন News 18 Bangla-র নিজস্ব মতামত নয়৷ স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাসের ভিত্তিতেই এই তথ্য৷)