সোশ্যাল মিডিয়া সহ লোকাল ১৮ বাংলার খবরের শিরোনামে উঠে আসে এক বৃদ্ধা ও দুই অনাথ বালক বালিকার জীবন যন্ত্রণার চিত্র। এই খবর নজরে আসে বেশ কিছু সহৃদয় ব্যক্তির। অবশেষে আজ আসানসোল থেকে বাঁকুড়ার ইন্দাসে ছুটে এলেন রামকৃষ্ণ রায়। তিনি তার সাধ্যমত পরিবারটি পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন।
আরও পড়ুন ঃ হাতের কাজে মেলে না লাভ, হারিয়ে যাচ্ছে বাঁকুড়ার ঐতিহ্যবাহী এই শিল্প
advertisement
শুধু তাই নয় একটি সাইকেলের ছিল খুবই প্রয়োজন। নতুন সাইকেল উপহার দিলেন। বাড়িতে ইলেকট্রিক নেই, স্থানীয়দের সেটি ব্যবস্থা করতে বললেন, তার খরচ তিনি দেবেন। ইলেকট্রিক বিল ছাড়াও দুই বালক বালিকার পড়াশোনার জন্য দেবেন হাজার টাকা এবং বালক-বালিকার ঠাকুমার সংসার চালাবার জন্য হাজার টাকা তিনি প্রতি মাসে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেবেন।
সংসারে আয় বলতে ছিল শুধু মাত্র বিধবা ভাতার হাজার টাকা, তাই দিয়ে তিনটি পেট সারা মাস কিভাবে চলে সেটা ভাবলেই অবাক হতে হয়। তারপরে ছিল নাতি-নাতির পড়াশোনা খরচ খরচা। দুর্বিষহ যন্ত্রণাময় জীবনে পৌঁছেছিলেন তিনি এবং তার নাতি-নাতনি। আসানসোল থেকে ছুটে এলেন রামকৃষ্ণ রায়। নিজের সাধ্য মত সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তিনি। সত্যি মানুষ যে এখনো বিবেক মনুষ্যত্ব ও মানবিকতা হারিয়ে ফেলেনি তার একটি উজ্জল নিদর্শন আজকের এই ঘটনা।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী