তাছাড়া সাঁওতালি মাধ্যমে উচ্চ মাধ্যমিকে এবছর রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাঁকুড়ার পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী সিলি টুডু। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮। বাড়ি রানিবাঁধ ব্লকের ধার কেডি গ্রামে। সাথে রাজ্যের মেধাতালিকায় দশম স্থান অধিকার করেছে সে। আগামী দিনে সাঁওতালি ভাষা নিয়ে লেখাপড়া করে গবেষক হতে চায় সে। রাজ্যের মেধা তালিকায় চতুর্থ এবং বাঁকুড়া জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে পাথরমোড়া হাই স্কুলের ছাত্রী অর্পিতা মন্ডল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। বাড়ি সোনামুখীর পাথরমোড়া গ্রামে। তার স্বপ্ন শিক্ষিকা হবার। কবিতা লিখতে সে বড্ড ভালোবাসে। প্রায় একবছর হলো বিদ্যুতের বিল না দিতে পারার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় তাদের বাড়িতে। হাজারো প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে আজ তার এই সাফল্য।
advertisement
অপরদিকে বাঁকুড়া জেলায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে বাঁকুড়া গোয়েঙ্কা বিদ্যায়তনের ছাত্র সোমনাথ পাল। প্রাপ্ত নাম্বার ৪৯৪। বাড়ি বাঁকুড়া সানবাঁধার তমালতলা এলাকায়। ইচ্ছের মধ্যে একটু খেলাধুলা করা তাছাড়া। তবে তার স্বপ্ন সমাজ বানাবার কারিগর শিক্ষক হবার। আপাতত ভূগোল নিয়ে পড়তে চায় সে। বাবা অসুস্থ বিড়ি বেঁধে কোনরকম আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে মা চালান সংসার। চান একটু আর্থিক সাহায্য। সোমনাথ ছাড়াও এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনেক দুস্থ ছেলে মেয়েরা রাজ্যের মেধা তালিকায় সাফল্য পেয়েছে।বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক পীযূষ কান্তি বেরা জানান উচ্চমাধ্যমিকে ৫৭ জন কৃতি ছাত্র-ছাত্রী মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাঁকুড়া জেলায় ৯১ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী পাশ করেছে। বিগত বছরের মতো এ বছরও বাঁকুড়া জেলায় পাশের হার ভালো। প্রত্যেকটি ছাত্রছাত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তিনি বলেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেক ধরনের স্কলারশিপ স্কিম রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল বা স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
JOYJIBAN GOSWAMI






