বাঁকুড়া পৌরসভার উদ্দ্যোগে বাঁকুড়ার আট নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গু যাতে না হয় সেই কারণে লালবাঁধ পুকুরে গাপ্পি মাছ ছাড়া হল। মশার বংশ বিস্তার রুখতে এ বার দাওয়াই গাপ্পি মাছ।ডেঙ্গু রুখবে এবার গাপ্পি মাছে। লড়াই করবে তারা মশার লার্ভার সঙ্গে। এই ছোট ছোট মাছগুলি মশার লার্ভাকে খেয়ে পরিবেশকে ডেঙ্গু মুক্ত করবে। ডেঙ্গু দমনে তৎপর রাজ্য ।
advertisement
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়া পৌরসভার একঝাঁক কার্যকর্তা। সঙ্গে ছিলেন ফিশারি অফিসার, বাঁকুড়া পুরসভার পৌরপ্রধান, উপ পৌরপ্রধান, পৌরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুরপ্রধান জানিয়েছেন, "সম্প্রতি দশ নম্বর ওয়ার্ডে একজনের ধরা পড়েছিল ডেঙ্গু। তার ট্রিটমেন্ট করানো হয়েছে। যাতে আর না বাড়ে মূলত জলাশয়গুলোতে তাই আগের থেকেই আমাদের গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, বাঁকুড়াকে ডেঙ্গু মুক্ত করতে হবে। আমাদের সেই জন্য এই কর্মসূচী আমরা গ্রহণ করলাম পুরসভার তরফে।
ফিশারী অফিসার জানান,"এই উদ্যোগ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মৎস্য দফতর ও স্বাস্থ্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগ। পুরসভার মাধ্যমে তা কার্যকরী হচ্ছে । উদ্যোগ এই কারনেই যে জমা জলে যাতে মশাল লার্ভা না জমে। গাপ্পি মাছ ছাড়ার কারণ ওই মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। এর ফলে মশারা বংশবিস্তার করতে পারে না।এলাকাকে ডেঙ্গু মুক্ত করতেই এই কর্মসূচি।
আরও পড়ুন Record number of Hilsa: বড়ই সুখবর! এক সপ্তাহে রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ দিঘায়
ডেঙ্গি নিয়ে এহেন সচেতনতায় খুশি এলাকার মানুষেরা। এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়।যেভাবে করোনা মানুষের প্রাণ কেড়েছে তাতে সত্যিই কারোর হাতে কিছু ছিল না কিন্তু ডেঙ্গির সম্পর্কে এখন সচেষ্ট সচেতন হলে সামলানো সম্ভব এই পরিস্থিতি। আগের থেকেই পৌরসভার উদ্যোগে প্রচার ও কর্মসূচি আগামীদিনে ডেঙ্গির প্রকোপ থেকে বাঁকুড়াকে বাঁচাবে, এমনই আশা করছেন শহরের নাগরিকরা।
জয়জীবন গোস্বামী