এই উৎসবে একটি করে সুপুষ্ট গরু নির্বাচন করে গরুর গায়ে রঙিন ছাপ দিয়ে প্রথমে গরুটিকে পূজো করা হয়। তারপর গ্রামের এক প্রান্তের শক্ত খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বাঁধা হয়। তারপর অহিরা গান গেয়ে আদিবাসী বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে লোম যুক্ত পশুর চামড়া দুলিয়ে ওই গরুকে উত্তেজিত করে চলে ক্ষমতা প্রদর্শনের পালা। আর এভাবেই আনন্দোৎসব পালন করেন আদিবাসী সমাজের মানুষজন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রতারণার অভিযোগে আটক এক ব্যাক্তি বাঁকুড়া সদর থানায়
তবে এই দৃশ্য দেখলেই মনে পড়ে যায় দক্ষিণ ভারতের জালিকাটু অথবা স্পেনের বুল ফাইটিং এর কথা। মনে হয় এ যেন এক গবাদি পশুদের উপর এক ধরনের অত্যাচার। তবে এটা ঠিক অত্যাচার নয়। এই সংস্কৃতির ইতিহাস জানতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে বহু বছর আগে।জানা যায় বহু বছর আগে রাত্রি হলেই কৃষিজীবী মানুষদের গোয়ালে হানা দিত বাঘ ভালুকের মত শিকারি পশুর দল। আর তাতেই গোয়ালের খুঁটিতে বাঁধা অবস্থাতেই প্রাণ যেত পোষ্য গবাদি পশুদের।
আরও পড়ুনঃ সোনামুখীতে এক রাতে তিনটি কালী মন্দিরে দুঃসাহসিক চুরি! এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য
এই অতর্কিত আক্রমণ থেকে গবাদি পশুদের বাঁচাতে এবং তাদের আত্মরক্ষার কৌশল শেখাতেই শুরু হয়েছিল এই উৎসবের। পূর্বপুরুষদের প্রথা মেনে আজও শহর এবং গ্রামাঞ্চলে পালিত হয় এই গরু খুঁটা উৎসব। আর এই উৎসব দেখতে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভিড় জমান অজস্র মানুষজন।
Joyjiban Goswami