জানা যায় ধৃত ওই সেনা জওয়ানের নাম শান্তিময় রানা । বয়স ২৪বছর। বাড়ি বাঁকুড়া জেলার কাঞ্চনপুর গ্রামে। সুত্রের খবর, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা শাখার রাডারে ছিলেন। এবং ২৫ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছিল। তিনি দুই পাকিস্তানি মহিলা এজেন্টের সংস্পর্শে ছিলেন, একজন মহিলা যিনি নিজেকে গুরনূর কৌর ওরফে অঙ্কিতা বলে পরিচয় দেন। নিশা নামে অন্য একজন মহিলাও তাঁর সাথে যোগাযোগ গড়ে তোলেন। অঙ্কিতা তাকে উত্তরপ্রদেশের মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসে কর্মরত বলে পরিচয় দেন। এবং অন্যজন, নিশা বলেছিলেন যে তিনি সামরিক নার্সিং সার্ভিসে যুক্ত আছেন।
advertisement
এই দুই মহিলা হ্যানি ট্র্যাপের ফাঁদে ফেলে তার কাছ থেকে তথ্য চেয়েছিল। শান্তিময় রানা নিজের রেজিমেন্ট সম্পর্কিত গোপন তথ্য এবং সেনাবাহিনীর অনুশীলন সম্পর্কিত কিছু ভিডিও শেয়ার করেছিল। এর পরিবর্তে সে অর্থও পেয়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এবং তার ভিত্তিতে তাকে ২৬ তারিখ রাজস্থানে গ্রেফতার করা হয়
আরও পড়ুন: নেশামুক্তি রিহ্যাবে মহিলাদের আটকে রেখে চলত মধুচক্র! ফাঁস করলেন রিহ্যাব মালিকের স্ত্রী!
২০১৮ সালের মার্চ থেকে রানা ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজ করছেন। তার দাদা তন্ময়ও সেনা বাহিনীতে কাজ করেন। তিনি ছুটিতে বাঁকুড়ার কাঞ্চনপুরে বাড়ি এসেছিলেন। ভাইয়ের গ্রেফতারির খবর রাজস্থান থেকে ফোন করে বাড়িতে জানানো হলে, তিনি রাজস্থান পাড়ি দেন। এই খবর গ্রামে চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গরীব পরিবারের থেকে উঠে আসা দাদা ও ভাইয়ের সেনা বাহিনীর চাকরি পাওয়ার পর পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরে।জায়গা কিনে দুই ভাই বাড়িও করে। কিন্ত আচমকা এই ঘটনায় সব এলোমেলো করে দিল রানা পরিবারের। ফলে ভেঙ্গে পড়েছেন শান্তিময়ের মা সন্ধ্যা দেবী। তিনি ভাবতেই পারছেন না ছেলে এমন কাণ্ড করে বসবে। অন্যদিকে,শান্তিময়ের বৌদির দাবি, গ্রামের ছেলের সরলতার সুযোগ নিয়ে তার দেওরকে ফাঁসিয়েছে আইএসআই এজেন্ট। সে জেনে বুঝে এমন কাজে জড়িয়ে যাবে তা হতে পারে না। তবে, শান্তিময়ের সাথে কতদিন ধরে যোগাযোগ রয়েছে এই দুই পাকিস্তানি গুপ্তচর মহিলার,কি,কি নথি বা ভিডিও সে পাচার করেছে তা খতিয়ে দেখছে তদন্ত কারি এজেন্সি এমনটাই সেনা বাহিনীর সুত্রের খবর।
জয়জীবন গোস্বামী