ছোট্ট ছোট্ট ১০৭ জন আদিবাসী শিশুদের নিয়ে তৈরি হয়েছে এই আশ্রম। শিক্ষার আলোর সংস্পর্শে এসে তাদের নির্ভেজাল চোখে দানা বেঁধেছে ভবিষ্যতের স্বপ্ন। ফুটবলার ,ক্রিকেটার থেকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার, কোনও পেশাই আর অসম্ভব নয় এই আদিবাসী শিশুদের কাছে।
কিছু না থাকার মধ্যেও খুব সুন্দর করে সাজানো এই ছোট্ট আশ্রমটি। ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য রয়েছে আলাদা-আলাদা ঘর। এই ঘরগুলিতেই শিক্ষিত হওয়ার খিদেতে একপ্রকার সংগ্রাম করে জীবনধারণ করছে শিশুগুলি। শীতের শীতল নিশ্বাস হোক বা গ্রীষ্মের উগ্র দাবদাহ, এই আদিবাসী শিশুদের সঙ্গেই বসবাস করেন বাবুনাথ টুডু এবং লক্ষী টুডু।
advertisement
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাবুনাথ টুডু ও তাঁর স্ত্রী লক্ষী টুডু দাঁতে দাঁত চেপে চালিয়ে যাচ্ছেন এক অসম্ভব অভিযান। অজুহাত দিয়ে নয়, অদম্য ইচ্ছার সঙ্গে তৈরি করছেন মানুষের মত মানুষ। আদিবাসী শিশুদের 'না পাওয়াগুলো পাওয়াতে রূপান্তরিত করতে তাঁরা বেছে নিয়েছেন শিক্ষার রাস্তা। মারাং বুরু চাচো মার্শাল আশ্রম থেকে শিক্ষিত হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল হয়েছেন বেশ কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী। বাবুনাথ টুডু এবং লক্ষ্মী টুডুর কাছে বোধ হয় এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।
Nilanjan Banerjee