নদীর জলে ভেঙে গেছে কাঠের সেতু মজবুত করার জন্য রাখা বালির বস্তা। টিন পাত গুলিতেও মোরচা পড়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে সেই কাঠের সেতুতে দড়ি দিয়ে বাঁশের ব্যারিকেট করে বেধে যাতায়াত বন্ধ করা হলো বাঁকুড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে। নড়বড়ে হলেও এই কাঠের অস্থায়ী সেতু ছিল কেশিয়াকোল, বিকনা সহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগের ভরসা। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েও তারা পারাপার করতেন এই কাঠের সেতুর উপর দিয়ে। এই কাঠের সেতুতে যাতায়াত বন্ধ করায় চরম সমস্যায় পড়তে হবে নদীর ওই প্রান্তে থাকা বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সোনামুখী পৌরসভার সাফাই কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার শালী নদী থেকে
কারণ বাঁকুড়া শহর আসতে হলে তাদের প্রায় দু কিলোমিটার ঘুরপথে আসতে হবে বড় সেতুর উপর দিয়ে। সেই বড় সেতুটিও রয়েছে বিপদজনক অবস্থায় যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। কেশিয়াকোল এলাকার বাসিন্দা মধুসূদন বাউরি বলেন এই কাঠের সেতুটি বন্ধ করায় তাদের চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। বাঁকুড়া শহরের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিল এই কাঠের সেতু। না হলে তাদের বড় সেতু পার করে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরপথে বড় সেতু পার করে শহরে আসতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ফের নদীতে স্নান করতে নেমে মৃত্যু বাঁকুড়ায়! এবার এক মহিলা
সেই বড় সেতুও এখন বিপদজনক। এই বিষয়ে বাঁকুড়া পৌরসভার পৌর প্রধান অলকা সেন মজুমদার বলেন নিম্নচাপের বৃষ্টির কারণে গন্ধেশ্বরী নদীতে জল বেড়েছে। মানুষ যাতে না পড়েন তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে এই কাঠের সেতুটি বাঁকুড়া পৌরসভা থেকে বন্ধ করা হলো। নদীর জলস্তর কমলে আবার এই কাঠের সেতুটি মেরামতি করে জনসাধারনের যাতায়াতের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। কখন আবার বাঁকুড়া পৌরসভা থেকে এই কাঠের সেতু মেরামত করে যাতায়াত যোগ্য করে তোলা হয় সেদিকেই তাকিয়ে নদীর ও প্রান্তে থাকা সাধারণ মানুষজন।
Joyjiban Goswami